মেয়ের অর্জন সাজিয়ে রাখার জায়গা নেই: সাফজয়ী স্বপ্নার বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:৩০ এএম, ৮ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
পুরনো মাটির ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে একটু ফুটো। সেটি আবার খড়ের বেড়া দিয়ে আটকানো। এলোমেলো এ ঘরে থাকা মাঝারি সাইজের একটি টিনের বাক্স থেকে বের করা হচ্ছে ট্রফি, সম্মানা স্মারক, মেডেলসহ একজন চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবল খেলোয়াড়ের যত অর্জন। সেগুলো বের করে একটি একটি করে টেবিলে সাজানো হচ্ছে ফটোসেশনের জন্য।
এটি সাফ চ্যাম্পিয়ন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়ার স্বপ্না রানী বাড়ি। নিজের মেধা ও শ্রম উজাড় করে মাঠে খেলে দেশের সুনাম কুড়ালেও নিজের ভাগ্য বদলাতে পারেনি ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অংশ নেওয়া এই নারী ফুটবলার।
ভালো একটি ঘরে নিজের অনুপ্রেরণার জন্য হলেও তার এসব অর্জন পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখবে এমন জায়গাটুকুও নেই তার। এক প্রকার বাক্স বন্দি হয়ে থাকে চ্যাম্পিয়ন এই খেলোয়াড়ের যাবতীয় অর্জন।
জেলার রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বরা শিয়ালডাঙ্গী গ্রামে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারের বাসায় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
ফুটবলার স্বপ্না রানীর বাবা নিরেন বাবু বলেন, আমার মেয়ে যখন ফুটবল খেলা শুরু করে তখন গ্রামের অনেকে অবজ্ঞা করেছিলো। টিটকারি মূলক কথা বলেছিলো। শুধু মেয়েকে নয়, আমাকেও বলেছিলো আমার মেয়েকে নাকি ভাঙা টিভিতে দেখা যাবে। ওসবে কান না দিয়ে মেয়েকে অনুপ্রেরণা দিয়েছি। গ্রামবাসী আমার মেয়ের সফলতায় খুশি হয়েছেন। মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন মানে আমিও চ্যাম্পিয়ন। আজ সারাদেশ আমাদের মেয়েদের নিয়ে গর্ব করছে।
কিন্তু এত অর্জনেও শঙ্কা থেকে তিনি বলেন, দেশের ফুটবল এখনো অনুন্নত। তাই মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। মানুষ মনে করে এখন আমাদের অনেক টাকা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। মেয়ের অর্জনগুলো সাজিয়ে রাখবো এমন একটা আসবাবপত্রও নেই। ওরা দেশের জন্য খেলে। তাই সরকার যেন ওদের সহযোগিতা করে। যাতে ওরা মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে। যারা দেশের জন্য খেলে সরকার যাতে তাদের একটা নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে ভূমিকা রাখে এটাই চাওয়া৷
মা সাবিলা রানী জানান, ডিসের লাইন না থাকায় মেয়ের খেলা দেখতে পারিনি। ছেলে এসে যখন বললো মেয়েরা আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমি খুব আনন্দিত হয়েছি। খবরটা মুহূর্তে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এ আনন্দ বলে বুঝাবার মতো না।
তিনি আরও বলেন, এমন জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে একদিন দেশের ফুটবলের অনেক নাম ডাক হবে। তখন নিশ্চয় স্বপ্নার মতো খেলোয়াড়দের কদর বাড়বে।
স্থানীয় রাঙাটুঙ্গী প্রমিলা নারী ফুটবল একাডেমি থেকে উঠে আসা বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়ার স্বপ্না রানী।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নারী ফুটবলাররা যে অর্জন এনে দিচ্ছে, এতে আমরা গর্বিত। তাদের স্থায়ী জীবিকার জন্য কিছু করা দরকার। যাতে খেলার পরে তাদের নিশ্চিত জীবিকার ব্যবস্থা হয়। আমরা চাই যেন স্বপ্না রানীদের অর্জনগুলো অনাদরে পড়ে না থাকে।
- শুক্রবার থেকে খুলছে সাফারি পার্ক
- ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত
- দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- শেখ হাসিনাকে নিয়ে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- দৃষ্টি হারানোর ঝুঁকিতে ৩৪ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী
- ছাদখোলা পর্যটন বাস এখন চট্টগ্রামের ব্র্যান্ড
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা
- লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে অভিনেত্রী নিখোঁজ
- এবার একুশে বইমেলা কোথায়, জানালেন উপদেষ্টা ফারুকী
- জাতীয় নির্বাচন কবে জানালেন ড. ইউনূস
- মার্কিন দপ্তরে সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল প্রসঙ্গ
- যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হচ্ছেন তুলসী
- জনসচেতনতার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব
- আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু বিপিএল
- ডেঙ্গু কেড়ে নিলো ৫ প্রাণ, হাসপাতালে সহস্রাধিক
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ২৬ তারিখ কী ঘটবে, কেন এত আলোচনা!
- অফিসে ‘গোপন কক্ষ’ নিয়ে মুখ খুললেন মালা খান
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- বর্ষার রাণী কেয়া ফুল: কত যে বাহার
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বৃষ্টি নিয়ে ফের দুঃসংবাদ
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার
- ফের অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদ গুঞ্জন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
- হারিয়ে যাচ্ছে কদম ফুল
- নারী বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা বাংলাদেশের
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- রাজধানীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ