ঢাকা, শুক্রবার ২১, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৩:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
এবার বেনাপোল সীমান্তে বসছে না দুই বাংলার মিলনমেলা জাতীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ ১৮ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল পেলেন একুশে পদক ১৮ বছর পর সব মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন খালেদা জিয়া

মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ‘ডিপ স্টেটের’ জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনাক্রমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নেই। খবর এনডিটিভির

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একজন ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার পাশে বসেছিলেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।

বিজ্ঞাপন
সেখানে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল—এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সোরোসের সাথেও দেখা করেন... সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?  

জবাবে ট্রাম্প বলেন, না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (ভারতের) এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন...। আসলে আমি পড়েছি (ভারত) এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়ে উত্তর দিতে আমি প্রধানমন্ত্রীর (ভারতের) ওপরই ছেড়ে দিতে চাই।

কিন্তু আমেরিকান প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে মোদি কোন উত্তর দেননি। এর পরপরই মোদি ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে মোদি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাব্য সমাধান খোঁজার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে আমি সমর্থন জানাই। বৈশ্বিক জনমত বলছে, ভারত এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই—ভারতের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না, আমরা সবসময়ই শান্তির পক্ষে ছিলাম। যখন আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করি, আমি এমন কি এটাও বলেছিলাম যে এখন যুদ্ধের সময় নয়। আমি আরও বলেছিলাম যে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। এটা শুধু তখনই পাওয়া যায় যখন সবাই আলোচনার টেবিলে বসে।

গণমাধ্যমের উদ্দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবসময় তার নিজের দেশকে অন্য সবকিছু থেকে এগিয়ে রাখেন, যা আমার দৃষ্টিতে একটি প্রশংসনীয় কাজ। আমিও একই কাজ করি—এ বিষয়টিতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এক।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি (মোদি) ভারতে খুবই ভালো কাজ করছেন এবং আমাদের দুইজনের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো অব্যাহত রাখব।

শুল্ক ও ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন মহা নেতা। আমরা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছু অসামান্য বাণিজ্য চুক্তি তৈরি করব।

বৈঠকে ট্রাম্প ভারতের কাছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন। 

ট্রাম্প জানান, মোদি ও ভারতের সঙ্গে তার ‘বিশেষ সম্পর্কে’ রয়েছে। তিনি মোদিকে ‘দর-কষাকষিতে অপ্রত্যাশিত পর্যায়ের পারদর্শী’ নেতা বলে অভিহিত করেন।

মোদি ট্রাম্পকে তার ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন এবং জানান, তিনিও ট্রাম্পের ‘আমেরিকাকে আবারও মহান রাষ্ট্রে পরিণত কর’ (মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) শ্লোগানের মতো ‘মেইক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন’ আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী। 

হোয়াইট হাউসে মোদি-ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় স্থান পেয়েছে বাণিজ্য, শুল্ক ও অভিবাসনের মতো বিষয়গুলো। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, ভিসা ও অভিবাসন নিয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।