ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪১:০৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থানে নেই জন্মদিনের বড় উৎসব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪৪ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার

বেথলেহেম শহর  

বেথলেহেম শহর  

আজ ২৫ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনে পালন করা হয় বড়দিন। তবে এ বছর যিশুর জন্মস্থান বেথলেহেমেই নেই বড়দিনের বড় কোনো উৎসব। ইসরায়েল অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরের এই শহরে বের হয়নি বড় কোনো শোভাযাত্রা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয়রা।

গতকাল রবিবার পশ্চিম তীরে বড়দিনের শোভাযাত্রা হয়েছে, তবে তা খুবই সংক্ষিপ্তভাবে। কার্ডিনাল পিজাবেলার সঙ্গে ছিলেন অল্প কয়েকজন খ্রিস্ট সন্ন্যাসী ও ভক্ত। পিজাবেলা হলেন ইসরায়েল, জর্ডান, সাইপ্রাস ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি।

সাধারণত, বড়দিনের সময় বেথলেহেমে হাজার হাজার পর্যটক থাকেন। এবছর কোনো পর্যটকই নেই।

এই শহরের অর্থনীতির ৭০ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে।বড়দিনের সময় সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন। কিন্তু এবারের ছবিটা আলাদা। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭০টা হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন।

গত নভেম্বরে জেরুসালেমের চার্চের প্রধানরা ঠিক করেছিলেন, বেথলেহেমের পবিত্র ভূমিতে বড়দিনে কোনো উৎসব করা হবে না। কোনো সাজসজ্জাও থাকবে না। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। বেথলেহেমের ঐতিহাসিক চার্চে মধ্যরাতের প্রার্থনা অবশ্য যথারীতি হয়েছে। কিন্তু সেই চার্চের বাইরে কোনো ক্রিসমাস ট্রি ছিল না। আলোকসজ্জাও ছিল না।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। 

২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়েছে। দুই দফায় বাড়া সেই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।