ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ৫:০২:২২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণ গেল ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে আমদানির সাড়ে তিনগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আলু ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা

নারী ফুটবলাররা গ্রাম থেকে আসছে কেন?

খেলাধুলা ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:২০ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

ইদানিং বাংলাদেশের মেয়েদের বয়সভিত্তিক দলগুলো দক্ষিণ এশিয়ায় ভালো করছে। মূলত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা নামের একটি নারী স্কুল টুর্নামেন্ট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছেন এসব নারী ফুটবলার। যার মধ্যে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর নামটি বেশ পরিচিত। তবে ঢাকা বা বিভাগীয় শহরগুলোতে মেয়েদের ফুটবল খেলাটা খুব একটা পরিচিত দৃশ্য নয়।


এ প্রসঙ্গে নারী ফুটবল উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ফেডারেশন এই উদ্যোগ নিয়েছিল আগেই, ২০০৮ সালে। তবে সেবার যেসব ফুটবলার তুলে আনা হয়, তারা জাতীয় দলে খেলতে চাননি।


তিনি বলেন, একদম শুরুতে আমি যখন ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাই, মহানগর পর্যায়ে মেয়েদের স্কুল টুর্নামেন্ট চালু করি। সে সময় বেশ বেগ পেতে হয় ফেডারেশনকে।


ফেডারেশন যখন বঙ্গমাতা স্কুল আসর থেকে মেয়ে ফুটবলার পাওয়া শুরু করে তখন থেকে তাদের জন্য বিশেষ ক্যাম্প করে কলসিন্দুরের মেয়েরা উঠে আসার পর ফেডারেশন জোরালো কর্মসূচি চালু করে।


সেখানে থাকা ও খাওয়ার জায়গা করে দেয়া হয় একটা বড় ফুটবল দলকে সেটা গ্রাম থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের জন্য একটা বড় ব্যাপার।


মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, শিক্ষকদের ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে নানা ধরণের চেষ্টা তদবির করে মেয়েদের মাঠে নামানো হয়।


তিনি জানান, তবে বেশ কজন ভালো ফুটবলার বাছাই করার পর, তারা আর জাতীয় দলে খেলতে রাজি হননি। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অনাগ্রহ বেশি বাঁধা তৈরি করেছে।


পড়াশোনা বাদ দিয়ে অভিভাবকরা ফুটবলে মেয়েদের আসতে দিতে চাননি। অার এক্ষেত্রে বাফুফেও বিনিয়োগ করে কোনো সুবিধা করতে পারেনি।


মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, বাফুফে চেয়েছিলো পড়াশোনা করা মেয়েরা যদি ফুটবলে আসে সেক্ষেত্রে মেধায়ও এগিয়ে যাবে নারী ফুটবল।

 

তবে গ্রাম থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের জন্য ব্যাপারটা অন্যরকম। অভিভাবকরাও বেশ সন্তুষ্ট হয় যখন মেয়েরা খেলাধুলা করে অর্থ উপার্জন করছে। খুব বেশি না হলেও।


কিরন মনে করেন, বাংলাদেশে নারী ফুটবলের উত্তরণের পেছনে এটা একটা বড় কারণ। পড়াশোনা ছেড়ে মেয়েদের ফুটবলে আসতে দিতে চান না অভিভাবকরা।


আনোয়ারুল হক হেলাল দক্ষিণ এশিয়ায় ফুটবল নিয়ে কাজ করছেন। তিনি মূলত সামাজিক সমস্যার দিকে নজর দিয়েছেন।


তিনি বলেন, মেয়েদের ফুটবল খেলাটাকে কতটা গ্রহণ করা হয় সেটা মূল ব্যাপার, এটা সামাজিকতার বিষয়।


আনোয়ারুল হক জানান, কিছুদিন আগে মহিলা কমপ্লেক্সে খেলা হয়েছিলো একটা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের। সেখানে ইংরেজি মাধ্যমের মেয়েরাও এসেছিল। কিন্তু তারা ঐ পর্যন্তই থেমে যায়। তারা শিক্ষাটাকে বেশি গুরুত্ব দেন।


তিনি বলেন, উল্টোদিকে গ্রামের মেয়েরা এতো ভাবে না, ফুটবলটা ওরা ভালো খেলে, কষ্ট করতে চায়। আর সামাজিক বাঁধা গ্রামেও থাকে কিন্তু সেটাকে যারা পার করে আসে তারা আর পেছনে তাকায় না।

পেশাদারিত্ব আনলে কি সমস্যা সমাধান হবে? এ প্রসঙ্গে আনোয়ারুল হক হেলালের মতে, পেশাদারিত্ব ভিন্ন জিনিস। বাংলাদেশে ছেলেদের ফুটবলও আক্ষরিক অর্থে পেশাদার নয়।
তবে লিগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।


তিনি আরো বলেন, যতদিন ফুটবল ফেডারেশনের ক্যাম্পে খাওয়া দাওয়া বসবাসের সুবিধা পাবেন এরা ততদিন এরা থাকবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু আয়ের উৎস হচ্ছে না। এটা স্বাভাবিক তারা এরপর আর উৎসাহ পাবেন না ফুটবলে।


পেশাদারিত্ব যদি পুরোপুরি না আসে সেক্ষেত্রে গ্রামের মেয়েরাও বেশিদিন থাকতে পারবে না বলে মনে করেন আনোয়ারুল হক হেলাল।