ঢাকা, শুক্রবার ৩১, জানুয়ারি ২০২৫ ৪:২৯:৩৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ বন্ধ হচ্ছে ৯ মাসের জন্য আরও ১৫ দিন বাড়ছে রিটার্ন জমার সময় নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে বাধা: বাফুফের প্রতিবাদ যুক্তরাষ্ট্রে হেলিকপ্টার-বিমান সংঘর্ষ, ১৮ মরদেহ উদ্ধার শিশুসহ ১১০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাচ্ছেন আজ আবারও কমল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা, রেকর্ড ৯.৫ ডিগ্রি বাংলা একাডেমি পুরস্কারের তালিকা পুনঃপ্রকাশ

‘যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে করণীয়’ মতবিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৫ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নারীপক্ষ’র ‘নতুন প্রজন্মের নারীর নেতৃত্ব বিকাশ প্রকল্প’র আওতায় ‘যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টায়  নারীপক্ষ’র নাসরীন হক সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
নারীকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে অধিকারসম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সাল থেকে নারীপক্ষ কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘নতুন প্রজন্মের নারীর নেতৃত্ব বিকাশ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সহযোগী নারী সংগঠন এবং স্থানীয় তরুণদের সম্পৃক্ত করে ৬টি জেলার (মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ ও সিলেট) ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ এবং নারীর উপর সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে।

সভার উদ্দেশ্য ছিল নারীর উপর সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে পরবর্তী করণীয় নির্ধারন করা।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন- রীনা রায়, প্রকল্প সম্পাদক, নারীপক্ষ। সভা সঞ্চালনা করেন উজ্জীমান আক্তার, সদস্য, নারীপক্ষ। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মহাপরিচালক - মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা। সরাসরি অংশগ্রহণ করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা প্রতিনিধি কামরুন নাহার, সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইং) এবং নারীপক্ষ’র উক্ত প্রকল্পের সমন্বয়কারী কামরুন নাহার। আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী ও এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যৌন হয়রানী প্রতিরোধ কমিটির সদস্য, সহযোগী সংগঠনের প্রধান, তরুন দলের সদস্য এবং নারীপক্ষ’র প্রতিনিধিসহ মোট ৩০ জন।

বক্তারা সবাই একমত পোষণ করেন যে, যৌন হয়রানি মুক্ত করতে হলে বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয় করা এবং ম্যানেজিং কমিটিকে সচেতন করা অত্যাবশক। শুধু মেয়েদের নয় পাশাপাশি ছেলেদের, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে এবং পরিবারকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিদ্যালয়ের এ্যাসেম্বিলিতে সব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে বার্তা দেয়া। কমিটি সক্রিয় করার লক্ষ্যে নিয়মিত সরকারি ফলো-আপ করা একান্ত জরুরি। পাশাপাশি নারীপক্ষ’র অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমেও কাজটি বাংলাদেশের সবগুলো জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা।