রাজধানীর চারপাশের নদী রক্ষা প্রকল্পের ৭০ ভাগ কাজ শেষ
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
রাজধানীর চারপাশের নদী রক্ষা প্রকল্পের ৭০ ভাগ কাজ শেষ
রাজধানী ঢাকার চেহারা বদলাতে চারপাশের নদী রক্ষা প্রকল্পের ৭০ ভাগ কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে তিনটি ইকোপার্ক ও ২৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ঢাকার চারপাশের নদীর দুই পাড়ের ২শ’ ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সাড়ে ৭ হাজার স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যে ইতিমধ্যেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পিলার। ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে ২৫ কিলোমিটার। যা ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগকে করেছে দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটনবান্ধব।
বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য়পর্যায়) (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে, কাজ সমাপ্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে ২০১৯ ও ২০২০ সাল টানা দুই বছরের অবৈধ দখলমুক্ত করা ও নদী রক্ষার শক্তিশালী অভিযানে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল প্রায় ১১ হাজার নদী দখলদারের অবৈধ স্থাপনা। উদ্ধার হয়েছে নদীর দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৩শ একর জায়গা।
নদী রক্ষার এই কাজের টেকসই বন্দোবস্ত করতে চলছে প্রায় ১১শ ৮১ কোটি ১০ লাখ টাকার তীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের মধ্যে কীওয়াল বাখাড়াপাড় করা হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। ওয়াক অন পাইল বা পিলার আকৃতির করা হচ্ছে প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এর ফলে ঢাকার চারপাশের নিচু ভূমিতে পানির অবাধ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। আর বাকি ২৪ কিলোমিটার করা হচ্ছে ব্যাংক প্রটেকশন বা স্লোপ আকৃতির। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১৪টি আরসিসিজেটির মধ্যে শেষ হয়েছে ৮টির কাজ, ৮০টি আরসিসিসিড়ির মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে ৪৫টি।
এছাড়া ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এলাকায় শেষ হয়েছে তিনটি পরিবেশবান্ধব ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ যা নদী তীরে আসা মানুষকে সবুজাভ পরিবেশ পেতে সহায়তা করছে। একই সাথে সদরঘাট ও কেরানিগঞ্জে খেয়াপারাপারের জন্য ৪টি ঘাটের তিনটির কাজই শেষ। সব মিলিয়ে রাজধানীর চারপাশের নদীতীর রক্ষার এই প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ কাজগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকার চারপাশের নদী তার নিজের রূপে ফিরে এসে স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত ও নিরাপদ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সবুজে ঘেরা নদীকে ঘিরে সম্প্রসারিত হবে নৌবাণিজ্যিক কার্যক্রম। প্রকৃতির এই জীবন্ত সত্ত্বা ফিরে পাবে তার আসল রূপ। আজীবন যার সুফল পাবে ঢাকাবাসী। আর তখনই বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ এগোবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ওয়াকওয়ের রুট হচ্ছে কামাড়পাড়া থেকে ধউর এবং ইস্টার্ন হাউজিং হতে গাবতলী-রায়েরবাজার-বাবুবাজার-সদরঘাট-ফতুল্লা-নিতাইগঞ্জ খালঘাট থেকে প্রিমিয়ার সিমেন্ট এলাকায় ডিপিটিসি এলাকা, গোদনাইল এলাকা, সুলতানা কামাল ব্রিজ হতে কাঁচপুর ব্রীজ এলাকা, টঙ্গী নদীবন্দর এলাকা। প্রাথমিকভাবে ওয়াকওয়ের সঙ্গে তিনটি ইকোপার্ক, বিনোদনকেন্দ্র, বসারবেঞ্চ, ফুডকোর্ট ও টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বিস্তৃত ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীর ভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের পুরো অর্থই সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে জোগান দেয়া হচ্ছে এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়ন করছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অননুমোদিত ও অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন সময় নদীর তীরভূমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে এবং এখনো করছে। কিন্তু দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করা তীরভূমি সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে ওঠে।
ঢাকা মহানগরীর চারদিকে নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। পরে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল একটি সভাও হয়। এ সভায় সিদ্ধান্ত হয় ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দু’পাশ অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে তীর ভূমিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রাখতে হবে।পাশাপাশি তীরের জায়গায় জনগণের জন্য বসার বেঞ্চ, ইকোপার্ক, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ হাতে নেওয়া যেতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা শহরের চারদিকে বৃত্তাকার নৌপথের তীরভূমিতে ১ম পর্যায়ে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে ৫২ কিলোমিটার অংশ অন্তর্ভুক্ত করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছিল যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
প্রকল্পটি ইতোমধ্যে একবার সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত প্রকল্প বাস্তবায়নকাল জুলাই-২০১৮ হতে জুন-২০২৪ পর্যন্ত। সংশোধিত প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ১১শ ৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
- শুক্রবার থেকে খুলছে সাফারি পার্ক
- ফের কমলো স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত
- দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- শেখ হাসিনাকে নিয়ে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- দৃষ্টি হারানোর ঝুঁকিতে ৩৪ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী
- ছাদখোলা পর্যটন বাস এখন চট্টগ্রামের ব্র্যান্ড
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা
- লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে অভিনেত্রী নিখোঁজ
- এবার একুশে বইমেলা কোথায়, জানালেন উপদেষ্টা ফারুকী
- জাতীয় নির্বাচন কবে জানালেন ড. ইউনূস
- মার্কিন দপ্তরে সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল প্রসঙ্গ
- যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হচ্ছেন তুলসী
- জনসচেতনতার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব
- আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু বিপিএল
- ডেঙ্গু কেড়ে নিলো ৫ প্রাণ, হাসপাতালে সহস্রাধিক
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ২৬ তারিখ কী ঘটবে, কেন এত আলোচনা!
- অফিসে ‘গোপন কক্ষ’ নিয়ে মুখ খুললেন মালা খান
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- বর্ষার রাণী কেয়া ফুল: কত যে বাহার
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বৃষ্টি নিয়ে ফের দুঃসংবাদ
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার
- ফের অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদ গুঞ্জন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
- হারিয়ে যাচ্ছে কদম ফুল
- নারী বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা বাংলাদেশের
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- রাজধানীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ