রূপগঞ্জের অহংকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ঝুনু
অনু সরকার | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:২০ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২১ শুক্রবার

রূপগঞ্জের অহংকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনারা বেগম ঝুনু
পাকসেনাদের টহল ব্যাহত করতে কখনও পানিতে নেমে আবার কখনও গাছের উপর থেকে গ্রেনেড ছুঁড়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনারা বেগম ঝুনু৷ আগরতলায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবিকা বাহিনী গঠন করেন৷ মাত্র ১৮ বছর বয়সে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন ঝুনু।
কলেজ জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত মিনারা বেগম৷ যুদ্ধের সময় দেশের অভ্যন্তরে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন বীরদর্পে৷ ঝুনু কখনো সংগঠক, কখনো সৈনিক আবার কখনো গেরিলা হিসাবে মুক্তিযোদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার দাউদপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ১ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন তিনি৷ তার বাবা শামসুল ইসলাম ভুইয়া এবং মা জুবাইদা বেগম৷ ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের সময় থেকেই ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে পড়েন৷
ঢাকার গভর্নমেন্ট ইন্টারমেডিয়েট গার্লস কলেজ এবং তেজগাঁও কলেজের ছাত্রী ছিলেন মিনারা৷ কলেজ ছাত্রী হয়েও দেশের মুক্তির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীর চর্চাকেন্দ্র এবং কলা ভবনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন৷ তবে সেটিই তার একমাত্র প্রশিক্ষণ নয়। সেটি ছিল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির শুরু৷ এরপর দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধ করার জন্য আরো বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র চালনা, গেরিলা এবং উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন মিনারা৷
২৫ মার্চের কালো রাতে পাক বাহিনীর নৃশংসতা ও গণহত্যার কথা স্মরণ করে তিনি জানান, ‘২৫ মার্চ রাতে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় আমার বোনের বাসায় ছিলাম৷ সেখানে কালোরাত্রির হত্যাযজ্ঞের ঘটনা আমার নিজের চোখে দেখা৷ রাত বারোটায় চারদিকে মুহুর্মুহু গুলিতে প্রকম্পিত অবস্থা৷ আমি এবং আমার বোনের ছেলে ক্রলিং করে করে বাসার মধ্যে চলাফেরা করতাম। জানালা দিয়ে বাইরের ঘটনা উঁকি দিয়ে দেখতাম৷ ঘরের মধ্যে গুলি এসে মাথায় বা শরীরে লাগার ভয় ছিল৷
তিনি বলেন, মধ্যরাতে গোলাগুলি কিছুটা কমে আসার পর জানালা দিয়ে দেখলাম, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তখন ইকবাল হল ছিল) পেছনে খেলার মাঠে লাশের স্তূপ৷ খড়ের পালা যেমন হয়, তেমনভাবে লাশ এনে এনে জমা করা হয়েছে।’
২৭ মার্চ সান্ধ্যআইন শিথিল করা হলে রূপগঞ্জে নিজ গ্রাম দাউদপুরে চলে যান তিনি এবং তার সঙ্গিরা৷ সেখানে তিনি এবং ফোরকান বেগমসহ অন্যান্যরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য কাজ করা শুরু করেন৷
তিনি বলেন, সেসময় ঢাকা নগরীকে আক্রমণ করতে হলে রূপগঞ্জ দিয়েই মুক্তিযোদ্ধাদের আসতে হতো৷ আমরা দু'জন তখন মুক্তিযোদ্ধাদের আসা-যাওয়া, যাত্রার পরিকল্পনা, থাকা-খাওয়া সবকিছুর ব্যবস্থা করতাম৷ এছাড়া আমরা মেয়েদের এবং ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্য সরবরাহের কাজ করাতাম৷ মেয়েদের উপর অত্যাচার করা হতো। তাই শিশুদের এই কাজে লাগাতাম বেশি৷’
তবে কিছুদিন পর মিনারা বেগমসহ অন্যান্যদের নেতৃবৃন্দ নির্দেশ দেন ওই এলাকা ছেড়ে ভারতে চলে যেতে৷ এক বাহকের হাতে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওখানে আমরা যখন কাজ করছিলাম তখন মণি ভাই (শেখ ফজলুল হক মণি) আমাদের চিঠি পাঠান। তিনি জানান, এখানে আমাদের আর থাকা নিরাপদ নয়৷ আমাদের কাজের কথা জানাজানি হয়ে গেছে৷ তাই পত্রবাহকের সাথেই যেন ভারতে চলে যাই৷ নাসির মামার সাথেই আমি এবং ফোরকান বেগম আগরতলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই৷ নরসিংদীর কাছে আসতেই আমরা পাকসেনাদের সামনে পড়ে যাই৷ গ্রাম পুড়ানোর জন্য যাচ্ছিল পাকসেনারা৷ সেখান থেকে অনেক কৌশল করে রক্ষা পাই আমরা৷’
তারপর করিমপুর হয়ে কসবার ভিটগড়ে যান মিনারা বেগম এবং তার সঙ্গীরা৷ ভিটগড়ে অমাবশ্যার রাতে ভুল করে শান্তিবাহিনীর প্রধানের বাড়িতে গিয়ে ওঠার ঘটনা সম্পর্কে মিনারা বেগম জানান, ‘ভিটগড়ে আওয়ামী লীগের এক লোকের বাড়িতে আমাদের আশ্রয় নেওয়ার কথা৷ কিন্তু অন্ধকার রাতে আমরা গিয়ে উঠি শান্তিবাহিনীর চেয়ারম্যান কালু সর্দারের বাড়িতে৷ আমরা ঘটনা বোঝার পর নিজেদের রক্ষার জন্য বুদ্ধি করি৷ কালু সর্দারের নাতনি রোজী এবং পরিবারের অন্যান্য সবার সাথে মিশে গেলাম৷ এমনকি আশেপাশের বাড়িগুলোর ঝি-বউদের সাথেও খাতির জমালাম৷ এক পর্যায়ে কালু সর্দারকেও আমরা বোঝাতে সক্ষম হই। এ সময় তিনি তার ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠাবেন বলে কথা দেন এবং তিনি তার প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন৷ পরে তার দুই ছেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে৷ তারা আমাদের সাথে আগরতলায় গিয়ে দেখা করেছিল৷'
এই বীর নারী মুক্তিযুদ্ধা বলেন, ‘কালু সর্দারের বাড়ি থেকে আমরা গেলাম ভিটগড়ে নিখিল দা’র বাড়িতে৷ উনি তখন ঐ অঞ্চলের যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চায়, তাদের ওপারে পারাপার করতেন৷ তিনি আমাদের একটা জায়গায় নিয়ে গেলেন থাকার জন্য৷ সেখানে অনেক বাড়ি-ঘর থাকলেও তেমন লোকজন নেই। জায়গাটার অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় আগেই সবাই অন্যত্র চলে গেছে৷ সেই জনমানবশূন্য গ্রামে আমরা দু'টি মেয়ে আর নাসির মামা থাকলাম৷ নিখিল দা আমাদের খাবার-দাবারের আয়োজন করতেন৷ এসময় রাতে আমরা তার সাথে যুদ্ধের কাজ করতাম৷ চৌদ্দগ্রামের পাশ দিয়ে যে সিঅ্যান্ডবি রোড আগরতলা গেছে সেখানে পাকসেনারা টহল দিতো৷ যাতে করে কোন মুক্তিযোদ্ধা ওপারে পার হতে না পারে, কিংবা কোন মুক্তিযোদ্ধা এপারেও না আসতে পারে৷ আমাদের কাজ ছিল পাক সেনাদের এই টহল বাহিনীটাকে নস্যাৎ করে দেওয়া৷ আমি, নিখিল, ফোরকান আমরা অনেক রাতে তাদের দিকে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারতাম৷ পাক সেনাদের গাড়ির চাকা নষ্ট করে ফেলতাম৷ ফলে তারা আর টহল দিতে পারতো না৷ অনেক সময় এমন হয়েছে, গ্রেনেড ছুঁড়ে পানিতে ডুব দিয়ে অপেক্ষা করেছি৷ পরে ওরা চলে গেলে পানি থেকে উঠেছি৷ পায়ে জোঁক লেগে থাকতো৷ জোঁক টেনে টেনে ছুটাতাম৷
মিনারা বেগম বলেন, ‘জোঁকের কামড় সহ্য করতে না পেরে আমি একদিন হিজল গাছে চড়লাম৷ এ সময় পাকসেনারা গুলি ছুঁড়ছিল৷ ওরা সাধারণ উচ্চতায় গুলি করে৷ গাছের উপরেও গুলি করতো না আবার পানিতেও গুলি করতো না বলে সুবিধাই হয়েছিল৷ পাকসেনারা যখন চলে গেল তখন প্রায় ভোর হয়ে গেছে৷ আমি গাছ থেকে নেমে আসলাম৷ তখন পথে দু'একজন লোককে দেখা গেল৷ আমি তখন লুঙ্গি পরতাম এবং মাথায় গামছা বেঁধে রাখতাম৷ কিন্তু গাছ থেকে লাফিয়ে নামার ফলে আমার লম্বা চুল বের হয়ে গেছে৷ তখন একজন বলে ওঠলো, ‘আরে, এ তো মাইয়া মানুষ৷ গাছে চড়ে বসে ছিল৷ আমি চলে আসলাম৷ কিন্তু কানে ভেসে এলো ওরা বলাবলি করছিল, এরা মুক্তিবাহিনী৷ মাইয়া মানুষ-পুরুষ মানুষ সব কাজ করতাছে এক সাথে৷’
মিনারা বেগম বলেন, ওই গ্রামের আশেপাশে যে কয়জন হিন্দু নারী ছিল তাদের আমরা কলেমা শিখাতাম, নামাজ শিখাতাম এবং মুসলমান মেয়েদের মতো করে কাপড় পরা শিখাতাম৷ যাতে বিপদ হলে আত্মরক্ষা করতে পারে৷ রাতের বেলা পাকসেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতাম৷ আর দিনের বেলায় এসব কাজ করতাম৷’
সেখান থেকে কিছুদিন পর আগরতলায় চলে যান মিনারা বেগম এবং তার সঙ্গীরা৷ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে মিলিত হন তারা৷ সেখানে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবিকা বাহিনী তৈরি করেন৷ এই বাহিনীর পরিচালনা পরিষদে দপ্তর সম্পাদিকা ছিলেন মিনারা বেগম৷ এই বাহিনীর নেতৃত্বে আরো যারা ছিলেন তাদের মধ্যে ফোরকান বেগম, ফরিদা মহিউদ্দীন, জাহানারা হক অন্যতম৷
এই বাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মিনারা বেগম বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবিকা বাহিনীর অনেকগুলো কাজ ছিল৷ তার মধ্যে সেবিকা হিসেবে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অন্যতম৷ কারণ সেসময় অনেক সেবিকা প্রয়োজন ছিল৷ মুক্তিযোদ্ধারা আহত হয়ে আসতেন৷ তাদের চিকিৎসা সেবার জন্য এটা জরুরি ছিল৷ তাই আমরা শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে মেয়েদের সংগ্রহ করে তাদের সেবিকা হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিতাম৷ এছাড়া কিছু বিপ্লবী বই সংগ্রহ করে আমরা একটি পাঠাগার গড়ে তুলি৷ এসব বই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পড়তে দিতাম৷ যাতে তাদের মনোবল ভেঙে না পড়ে৷ এছাড়া নারীদের আরেকটি দলকে গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ কিছুদিন পর নয়জন মেয়েকে বাছাই করে আরো উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়৷ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় লেম্বুচড়া প্রশিক্ষণ শিবিরে৷ সেখানে আমিনুল হক ছিলেন প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপক৷ আর প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন ভারতের সেনা বাহিনীর মেজর আর সি শর্মা ও মেজর কে বি সিং৷ ছোট-খাটো অস্ত্র চালনা তো আমরা আগেই শিখেছিলাম৷ সেখানে আমাদের শেখানো হয় কীভাবে বিমান বন্দর কিংবা বিমান ধ্বংস করতে হবে সেসব কৌশল৷ এসময় আমাদের খুব গোপন জায়গায় রাখা হতো৷ নেতৃবৃন্দ কয়েকজন ছাড়া কেউ জানতো না যে আমরা কোথায় আছি৷’
যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন হলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মিনারা বেগম তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং-এ চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ডিজিএম (অর্থ) পদে কর্মরত ছিলেন। মিনার বেগম ঝুনু একজন লেখক, গীতিকার ও ছড়াকার। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের মা। তার ছেলে শান্তনু আদিব ও মেয়ে আজমা আলী পূর্ণ। তার স্বামী মরহুম অ্যাডভোকেট আলতাফ আলী।
- আজ থেকে সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা
- মেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হ*ত্যা করল স্বামী
- যেসব অঞ্চলে আজ ঝড় বইতে পারে
- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ১৩
- ঢাকার সড়কে সকালে গণপরিবহন কম, অফিসগামীদের ভোগান্তি
- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া
- কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে
- অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ আর নেই
- বাংলা একাডেমিতে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী মেলা
- ইনজেকশন দেওয়া তরমুজ চেনার উপায়
- আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিদেশিরাও
- সাংবাদিক নিয়োগ দেবে দৈনিক ডেসটিনি
- উৎসবের আমেজে শেষ হলো ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’
- সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১৪ টাকা
- ফিজিতে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
- ‘উইমেন ফর উইমেন,এ রিসার্চ এন্ড স্টাডি গ্রুপ’এর বার্ষিক সভা
- বইমেলায় আইরীন নিয়াজী মান্নার ছড়ার বই ‘টুটুলের কাছে চিঠি’
- রোজার ঈদের পর দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া
- জাতীয় নাগরিক পার্টির ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
- দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করতে হবে: খালেদা জিয়া
- মাঠে ফিরছেন বিদ্রোহী সাবিনারা
- ১৮ বছর পর সব মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন খালেদা জিয়া
- নারীদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে প্রকাশিত হলো ‘তুমি যেমন’
- যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- নারীর নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে
- খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ২ মার্চ
- চবি ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিল স্থানীয় লোকজন
- যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে গাজায় হামলা, নিহত বেড়ে ২০০
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামি খালাস
- খালেদা জিয়া আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ: ডা. জাহিদ