রোজা লুক্সেমবার্গের নির্বাচিত রচনা: অনুবাদ: অদিতি ফাল্গুনী
(ভূমিকা: পিটার হুদিস এবং কেভিন বি. এন্ডারসন) | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২২ বুধবার
রোজা লুক্সেমবার্গের নির্বাচিত রচনা: অনুবাদ: অদিতি ফাল্গুনী
(ভূমিকা/পর্ব- ৮ ): সর্বোপরি, উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্বসমূহ-এ, মার্ক্স সঞ্চয় বিষয়ে তাঁর সাধারণ পূর্বানুমান নিচে উদ্ধৃত ভাষায় বর্ণনা করেন:
এখানে আমাদের শুধুমাত্র সেই আঙ্গিকগুলো বিবেচনা করতে হবে যার ভেতর দিয়ে পুঁজি তার বিকাশের নানা স্তর পার করে। এভাবে আমরা উৎপাদনের বাস্তব প্রক্রিয়ার প্রকৃত শর্তগুলো ঘোষণা করিনা, তবে সর্বদাই অনুমান করে নিই যে পণ্য তার যথার্থ মূল্যেই বিক্রি হয়। পুঁজিবাদীদের প্রতিযোগিতাকে আমরা গুরুত্ব দিই না, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি ঋণ ব্যবস্থা; আমরা সমাজের প্রকৃত সংগঠনকেও হিসাবে নেই না যা শুধুই শিল্পপতি পুঁজিপতি ও শ্রমিকদের দ্বারা গঠিত নয়, এবং যেখানে উৎপাদক ও ভোক্তা শ্রেণির ভেতরে বাস্তবিক কোন কঠোর বিভাজন নেই। প্রথম শ্রেণিটি (ভোক্তাদের প্রথম শ্রেণি যাদের রাজস্ব আংশিক ভাবে মাধ্যমিক স্তরের, আদিম স্বভাবের নয়, মুনাফা এবং মজুরি শ্রম থেকে উদ্ভূত) দ্বিতীয় শ্রেণির (উৎপাদক) থেকে অনেক বেশি বিস্তৃত। সুতরাং যে উপায়ে এটি (উদ্বৃত্ত মূল্য) তার আয় এবং এমন আয়ের ব্যাপ্তিকে খরচ করে, তা প্রতিটি অর্থনৈতিক পরিবারকে এবং বিশেষত: পুঁজির পুনরুৎপাদন ও সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে।
সমাজের ‘প্রকৃত সংগঠন’-এর কথা বলে, মার্ক্স এখানে উদ্বৃত্ত মূল্য আর মজুরি শ্রমের যৌথ ও পরগাছা ভোগীদের কথাও বিবেচনা করেছেন। অর্থাৎ বিবেচনা করেছেন পুঁজিবাদী উৎপাদনের তোষামুদেদের প্রধান শ্রেণিটিকেও।
সুতরাং, এবিষয়ে কোন সন্দেহই থাকতে পারে না যে মার্ক্স ধন সঞ্চয়ের প্রক্রিয়াটি প্রদর্শন করতে চেয়েছেন এমন এক সমাজে যা শুধুই শ্রমিক ও পুঁজিপতিদের সমন্বয়ে গঠিত, যে সমাজ কিনা পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতির শাশ্বত ও নিরঙ্কুশ আধিপত্যের আওতাধীন। যাহোক, তাঁর বৃত্ত, এই অনুমানের উপর ভিত্তি করে ‘উৎপাদনের তরে উৎপাদনে’র চেয়ে অন্য কোন ব্যখ্যা-বিশ্লেষণের অনুমতি দেয় না।
সম্প্রসারিত পুনরুৎপাদন বিষয়ে মার্ক্সের বৃত্তের দ্বিতীয় উদাহরণটি আমাদের স্মরণ করতে দিন:
প্রথম বছর:
১. ৫,০০০c +১,০০০v + ১,০০০s = ৭,০০০ উৎপাদনের উপায়
২. ১,৪৩০c +২৮৫ v +২৮৫ s = ২,০০০ উৎপাদনের উপায় }- ৯,০০০
দ্বিতীয় বছর:
১. ৫,১৪৭ c +১,০৮৩ v +১,০৮৩ s = ৭,৩৮৩ উৎপাদনের উপায়
২. ১,৫৮৩c + ৩১৬ v +৩১৬ s = ২,২১৫ টিঁকে থাকার উপায় }- ৯,৭৯৮।
তৃতীয় বছর
১. ৫,৮৬৯ c + ১,৭১৩ v + ১,৭৩ s = ৮,২১৫ উৎপাদনের উপায়
২. ১,৭১৫ c + ৩৪২ v + ৩৪২ s = ২,৩৯৯ টিঁকে থাকার উপায়} ১০,৬১৪।
৪র্থ বছর
১. ৬,৩৫৮ c + ১,২৭১ v +১,২৭১ s = ৮,৯০০ উৎপাদনের উপায়
২. ১,৮৫৮ c + ৩৭১ v +৩৭১ s = ২,৬০০ টিঁকে থাকার উপায়}- ১১,৫০০এ।
* (এখানে c = constant capital, v =variable capital, s= surplus value)।
পুঁজির সঞ্চয় এখানে বছরের পর বছর কোন বাঁধা বা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই চলতে থাকে, পুঁজিপতিরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই অর্জিত উদ্বৃত্ত মূল্যের অর্দ্ধেক ভোগ করে ফ্যালে এবং বাকি অর্দ্ধেককে মুনাফায় লাগায়। মুনাফাকরণের প্রক্রিয়ায় একই প্রযুক্তিগত ভিত্তি, সোজা কথায় বললে, একই জৈব সংগঠন অথবা ধ্রুব/স্থির পুঁজি ও পরিবর্তনশীল পুঁজির বিভাজন ও শোষণের একই হার (সবসময়ই যা ১০০ শতাংশ পুরোটাই হয়ে থাকে) ধারাবাহিকভাবে অতিরিক্ত পুঁজির জন্য রক্ষিত হয়ে থাকে যেমনটা মূল পুঁজির জন্যও হয়েছিল। ‘পুঁজি’-র প্রথম খন্ডে মার্ক্সের করা অনুমানের সাথে সঙ্গতি রেখেই, উদ্বৃত্ত মূল্যের মুনাফাকৃত অংশ উৎপাদনের অতিরিক্ত উপায় হিসেবে প্রথমে আসে এবং তারপর তা’ শ্রমিকদের টিঁকে থাকার উপায় হিসেবে আসে- উভয়ই দুই বিভাগে চির প্রসরমান এক উৎপাদনের উদ্দেশ্য পূরণ করার কাজে নিরত থাকে। মার্ক্সের বৃত্তের অনুমান থেকে এটা আবিষ্কার করা অবশ্য সম্ভব নয় যে কার জন্য উৎপাদন প্রগতিশীল ভাবে প্রসারিত হচ্ছে বা হয়। একথা স্বীকার করতেই হয় যে একটি সমাজে উৎপাদন ও ভোগ যুগপৎ পাশাপাশি চলে। পুঁজিপতির ভোগ বাড়ে (মূল্যের হিসেবে, প্রথম বছর এটা বেড়ে হয় ৫০০+১৪২, দ্বিতীয় বছরে এটা বেড়ে হয় ৫৪২+১৫৮, তৃতীয় বছরে এটা বেড়ে হয় ৫৮৬+১৭১, এবং চতুর্থ বছরে বেড়ে হয় ৬৩৫+১৮৫): শ্রমিকদের ভোগ যেমন বাড়ে তেমনি বছরের পর বছর পরিবর্তনশীল পুঁজি উপরোক্ত দুই বিভাগেই বাড়ে যা মূল্যের নিরিখে এই বৃদ্ধিকে পরিমিতভাবে নির্দেশ করে। এবং তবুও পুঁজিপতিদের বর্দ্ধনশীল ভোগকে অবশ্যই পুঁজি সঞ্চয়ের চূড়ান্ত লক্ষ্য বলা যাবেনা; বরং উল্টোদিক থেকে দেখলে, ভোগের ঘটনা যত ঘটে বা বাড়ে, ততটা সঞ্চয় কিন্ত হয়না; পুঁজিপতিদের ব্যক্তিগত ভোগকে সাধারণ পুনরুৎপাদন হিসেবে দেখতে হবে। বরং, প্রশ্নটি হলো: যদি, এবং যতটা সম্ভব ততটাই যদি, পুঁজিপতিরা নিজেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য ভোগ না করে বা সোজা কথায় ভোগ পরিহার করে এবং সঞ্চয় করে, তবে কার জন্য তারা উৎপাদন করে? আরো কম করে বললে, বাড়তে থাকা পুঁজির ক্রমাগত সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য কি আয়তনে ক্রমাগত বাড়তে থাকা এক শ্রমিক বাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ হতে পারে? পুঁজিপতির দৃষ্টি থেকে দেখলে, শ্রমিকদের ভোগ হলো সঞ্চয়ের একটি ফলাফল। যতদিন না পুঁজিবাদী উৎপাদনের নীতিমালা (ভিত্তি) ভেতর থেকে উল্টে যায়, ততদিন শ্রমিকদের ভোগ কখনোই সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য বা শর্ত হতে পারেনা। এবং যে কোন ক্ষেত্রে, শ্রমিকেরা শুধুমাত্র কোন উৎপাদিত পণ্যের সেই অংশটুকু ভোগ করতে পারে যা পরিবর্তনশীল পুঁজির সাথে মিলে যায় এবং তার এক বিন্দুও বেশি নয়। এরপর কে স্থায়ীভাবে বাড়তে থাকা উদ্বৃত্ত মূল্যকে বুঝতে পারে বা পারবে?
- মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ
- খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে যা জানালেন উপদেষ্টা নাহিদ
- ঠাকুরগাঁওয়ের তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা
- ডেঙ্গুতে একদিনে নয়জনের প্রাণহানী
- সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, স্বাগত ও ধন্যবাদ জানালেন ড. ইউনূস
- ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের ক্লাস বন্ধ আজ
- শীতে গরম পানিতে গোসল করা ভালো না ক্ষতিকর?
- এবার মশা তাড়াবে কলা
- শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে চান জেড আই খান পান্না
- সাগরে লঘুচাপ, তাপমাত্রা ও কুয়াশা নিয়ে আবহাওয়ার নতুন বার্তা
- ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- ইসরায়েলকে রক্ষায় জাতিসংঘে ৪৯ বার ভেটো যুক্তরাষ্ট্রের!
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- রাজধানীতে আজও অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- ড.ইউনুসকে তসলিমা নাসরিনের খোলা চিঠি
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- স্নাতক পাসে চাকরি দেবে আড়ং
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে
- নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২
- যানজটে দৈনিক ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে