ঢাকা, শুক্রবার ২৮, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৩:১৫:৫১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করতে হবে: খালেদা জিয়া সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশী মেলায় ৩ পুণ্যার্থীর মৃত্যু চবি ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিল স্থানীয় লোকজন ২৩৪ শিশু ধর্ষণের মধ্যে ১৯৭টি মামলা জার্মানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে ফেসবুকে হঠাৎ বিভ্রাট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ডাক মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কাঁপলো সিলেট

র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা খুবই দুর্ভাগ্যজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪২ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিষেধাজ্ঞা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। 


শনিবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। 

সুলতানা কামাল সংস্থাটির ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, একটা কমিশন আছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে পরামর্শ দেয়। সেই কমিশনের কাজ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে যেখানে ইনভেস্ট (বিনিয়োগ) করছে, সেই ইনভেস্টমেন্টের কারণে কোনো রকম মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কি না- সেটা দেখার। এর জবাবদিহি করতে হয় এই কমিশনের কাছে। র‌্যাবের ব্যাপারটা কিন্তু সেখান থেকেই এসেছে। 

র‌্যাব গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বাহিনী গঠন হয়েছিল বিএনপির আমলে, আওয়ামী লীগ তখন ছিল বিরোধী দলে। আওয়ামী লীগ তখন স্পষ্ট ভাষায় বলেছিল, ক্ষমতায় আসলে র‌্যাবের সংস্কার করবে। কিন্তু হলো না বরং ক্রসফায়ার (বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) অব্যাহত থাকল, সেটাও আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। 

সুলতানা কামাল বলেন, ২০০৪ সালে র‌্যাব যখন গঠন হয়, তখন আমরা কোনো আপত্তি জানাইনি। কারণ তখন এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে, সন্ত্রাস দমনের আকুতি আমাদের কাছ থেকেও ছিল। সেটার জন্য এলিট ফোর্সটা গঠন করা হলো। পরে তাদের (র‌্যাব) কার্যবিধির বাইরে গিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে যায়, বা তাদেরকে নিযুক্ত করা হয়। তখন থেকেই এর বিরুদ্ধে আমরা কথা বলে আসছি। 

তিনি বলেন, আমরা এর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। র‌্যাবের বিরুদ্ধে আদালতের রায় আছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে একটি বইও বের করেছি। সেখানেও কিন্তু আমাদের আক্রমণ করা হয়েছিল। আমরা কোনো রকম বাধায় পিছপা না হয়ে এ ব্যাপারে এখনো বলে যাচ্ছি। 

সুলতানা কামাল আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও বলেছেন- আমেরিকাই র‌্যাব বানিয়ে দিয়েছে। এটাও আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। অন্য রাষ্ট্র এখানে এসে একটা বাহিনী বানিয়ে দিয়ে গেল? আমার মনে হয় তারা ওই অর্থে বলেছেন যে, কারণ র‌্যাব গঠনে ট্রেনিং, পরিকল্পনা ইত্যাদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা ভূমিকা ছিল।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে জুডিশিয়ারি অন্যতম স্তম্ভ। যতক্ষণ পর্যন্ত জুডিশিয়ারি স্বাধীন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচার আশা করা যায় না। মানুষ কিন্তু সুবিচার পাচ্ছে না। বিচারক নিয়োগে যে পদ্ধতি আছে, সেটা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না। সেখানেও নানা ধরনের অনিয়ম করা হয়, আইন মানা হচ্ছে না। 

সুলতানা কামাল বলেন, সর্বস্তরে মানবাধিকার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। মানবাধিকারের সংস্কৃতিটা যেন মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হয়, সেভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের অহিংসভাবে অধিকারের ব্যাপারে সোচ্ছার হতে হবে। সেটার জন্য একটা সংস্কৃতিবান সমাজ তৈরি করা প্রয়োজন। সংস্কৃতিবান সমাজ না হলে কিন্তু অহিংস আন্দোলন সফল হওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে।