ঢাকা, রবিবার ০৮, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯:১০:৩০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে নদীভাঙন কুমিল্লায় বন্যায় ১১০০ কিলোমিটার পাকা সড়কের ক্ষতি যে কারণে বাড়ছে চালের দাম গাজায় টিকা কর্মসূচির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলা:নিহত ২৭ শুল্ক কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, ৩ জনের প্রাণহানী

লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারাজের বাঁধে ধস:আতঙ্কে বাসিন্দারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪১ এএম, ৬ জুলাই ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা শহর রক্ষা চন্ডিমারী বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই বাঁধ মেরামত করা না গেলে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
শনিবার ( ৬ জুলাই ) জানা গেছে, তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাসের পাশে সাধুর বাজার হতে দক্ষিণ দিকে হাতীবান্ধা শহর রক্ষার্থে একটি বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই বাঁধটি এলাকায় চন্ডিমারী বাঁধ নামে পরিচিত। সেই বাঁধে ৬০/৭০ ফিট অংশ ধসে যাচ্ছে। জিও ব্যাগ পানিতে ভেসে যাচ্ছে কয়েক দিন ধরে। প্রতি বছরেই তিস্তা নদীর পানি বাড়লেই ভাঙন আতঙ্ক দেখা দেয়।

মূলত শুষ্ক মৌসুমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনই নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীর পাড় ভাঙছে। তীর রক্ষা বাঁধে ধস নামছে। বাঁধের পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীদের। একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে তারা শুধু পরিদর্শন করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই বাঁধ মেরামত করা না গেলে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এতে তিস্তা নদীর গতিপথ উল্টো দিকে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

তিস্তাপাড়ের লোকজনের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ( ৪ জুলাই ) সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। কিন্তু এখনো জরুরি কাজ শুরু না হওয়ার কারণে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, গতবারও এখানে ভাঙন শুরু হয়েছিল। পরে কয়েকটি জিও ব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে তারা আর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস আলী জানান, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ দৌলা জানান, স্থানীয়রা বলার পরেই ওই স্থানে কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছিল। তিস্তার পানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। আশা করছি ওই স্থানে বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।