ঢাকা, রবিবার ০৬, এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৪:০১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন ফখরুল চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশসহ ১৩ দেশে সৌদির ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি মারা গেছেন ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড ঈদের টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ খুলছে অফিস-আদালত স্বস্তি ফিরেছে মাংসে, কিছুটা বেড়েছে মাছ-সবজির দাম

লেবুর দাম কমছেই না

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ২ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঈদের পর তেমন চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও লেবু আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে । রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আকারভেদে প্রতি হালি লেবু ৭০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। চাঁদরাতে লেবুর দাম হালিতে ১০ টাকা বেশি ছিল।

ঈদের পর থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তালতলা, কারওয়ানবাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এবং টাউন হল বাজার খোঁজ নিয়ে লেবুর বাড়তি দামের এসব তথ্য জানা গেছে।

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতিবেদককে জানান, ঈদের বন্ধের কারণে বাজারে অধিকাংশ সবজির সরবরাহ কম। বিশেষ করে লেবু ও শসার সরবরাহ আরও কম। এ কারণে তাঁরা দাম বেশি রাখছেন।

দেখা গেছে, ঈদের পর অল্প কিছু দোকান খুললেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। ক্রেতাদের বেশির ভাগই জানান, তাঁরা খুব জরুরি প্রয়োজনেই বাজারে এসেছেন। অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকেদের মধ্য যাঁরা ঈদের আগে বাজার করার সুযোগ পাননি, তাঁদের অনেকেই আজ এসেছেন।

সেলিম নামের একজন ক্রেতা জানান, তিনি বাবর রোডের একটি শোরুমে কাজ করেন। ঈদের আগে তাঁর কাছে নগদ টাকা ছিল না। এ জন্য মুরগির মাংস ও অন্যান্য বড় (বেশি টাকার) বাজার করার সুযোগ পাননি। আজ (ঈদের পরদিন) বাজার থেকে মুরগি, শসা, পুদিনা পাতা, টক দই এসব কিনেছেন। কিন্তু কৃষি মার্কেটে দোকান খোলা না থাকায় পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ কয়েকটি পণ্য কিনতে পারেননি। এগুলোর জন্য আশপাশের ছোট বাজারে গিয়ে দেখবেন বলে জানান।

বাজারগুলোতে দেখা যায়,ছোট আকারের এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৭০ টাকায়। আর বড় আকারের লেবুর সর্বোচ্চ দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে সব সবজির দোকানে লেবু পাওয়াও যাচ্ছে না। কারণ, সরবরাহ কম।

কৃষি মার্কেটে দোকানদার এক হালি লেবুর দাম চান ৭০ টাকা।

রফিক নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘ছোট সাইজের (আকারের) এই লেবুর দাম ২৫-৩০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়; কিন্তু দাম চাইছে ৭০ টাকা।’ অন্যদিকে বিক্রেতার দাবি, ৭০ টাকার নিচে লেবু বিক্রি করলে তাঁর মোটেও লাভ থাকবে না।

বাজারে শসার দামও চড়া। প্রতি কেজি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে এ দাম ৬০-৮০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা ও পেঁপে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে পেঁপের দাম কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলেন, ঈদের বন্ধের মধ্যে ক্রেতা কম, আবার সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। দু-তিন দিনের মধ্যে বাজার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।