শান্তি কি আর আসবে কখনো?
অদিতি ফাল্গুনী | উইমেননিউজ২৪.কমআপডেট: ১১:০৬ পিএম, ১০ জুন ২০১৮ রবিবার
ঢাকায় ফিরলাম মাত্রই। এত লং রুটের বাস জার্নিতে আমার সবসময় বমি হয়। গেলাম বমি করতে করতে- আর আসলামও তাই। এখন বেশ অসুস্থ বোধ করছি। একটা বিষয় কি- চোখে দেখার কোন বিকল্প নেই। ঢাকায় বসে হাজার পত্রিকা পড়ে, টিভি দেখে লাভ হবে না যদি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ না করেন। এদিকে বন্যার পরই তিন লাখের উপর শরণার্থী নিয়ে আমাদের চালের বাজার চড়া হয়ে উঠেছে। টেকনাফে বসেই জানলাম নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মার প্রয়াণের সংবাদ। তাঁর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা।
অসংখ্য সাধারণ নর-নারী যারা একটি দেশ থেকে পালিয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে রাস্তায়- তাদের ন্যূণতম ঠাঁই দেবার মানবিক প্রয়োজনেই আবার উজাড় করতে হচ্ছে পাহাড় ও বন, কুতুপালং ক্যাম্পের পাশে গিয়ে প্রথমবারের মত এদেশে দেখতে পেলাম আফগান নীল বোরখা- অথচ উপর থেকে যা মনে হয় যে রোহিঙ্গা মানেই দাড়ি-টুপি-বোরখায় আচ্ছাদিত এক গভীর ধর্মভীরু জনগোষ্ঠি, তার ভেতরে কত না মোচড়! দিনে হোটেলের নিচে রাস্তায় যে মেয়েগুলো কালো বোরখায় রোদে পুড়ছে তারাই সন্ধ্যার পর বোরখা খুলে থামি আর ব্লাউজের আরাকানী পোশাকে স্বচ্ছন্দ! এদেশে এলে বোরখাটা পরা বেড়ে যায় তাদের যেন এদেশের মানুষ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ ‘মুসলিম’ ভাবে- জানালেন এক রোহিঙ্গা পুরুষ দোভাষী মারফত। যে মিয়ানমারে এত অত্যাচারিত তারা, সেই মিয়ানমারকেই আজো ভালবাসার স্বদেশ মনে করেন বিশেষত: প্রবীণ প্রজন্ম। উখিয়ার পথে চেহারা দেখেই শিক্ষিত মনে হয়েছে এমন কয়েকজন সদ্য তরুণকে নাম জিজ্ঞাসা করলে সরল হাসিতে আমার ডায়েরিতে লিখে দিলেন বার্মিজ হরফে তাদের নাম। ওরা বর্মী ভাষায় পড়া-শোনা করেছে। বাংলা বর্ণমালা তারা জানে না। মাসের নামও জানে বর্মী ভাষায়। অ-নিবন্ধিত লেদা ক্যাম্পে অনেক অনুরোধের পর বলিরেখাকুঞ্চিত এক মাতামহী শুনিয়েছিলেন ‘বৈরাত’ বা ‘বিয়ের গীত।’ মুসলিম রোহিঙ্গাদের মুখে ছোটবেলা থেকে শোনা মুসলিম নামগুলো যেমন বর্মী উচ্চারণের প্রভাবের জন্যই একটু অচেনা লাগে, হিন্দু রোহিঙ্গাপাড়াতেও ‘পূজা’ নামে মেয়েটি তার নামের উচ্চারণ করে ফেলল ‘ফুইজা।’ বেশ বর্মী শুনতে, তাই না? ‘ফুপু’ শব্দটি যেমন এখন রোহিঙ্গারা বলে ‘ফু।’ হিন্দু রোহিঙ্গাপাড়া ও মুসলিম রোহিঙ্গাপাড়া থেকে কিছু পাল্টাপাল্টি বয়ানও পাওয়া গেল যা কাল-পরশু নাগাদ লিখব। অং সান সূচির উপর আস্থা রাখেন আজো কোন কোন রোহিঙ্গা প্রবীণ। এক বৃদ্ধ কৃষক বললেন, ‘এদেশে সবাই টাকা ছুঁড়ে দিচ্ছে। আমার দেশে আমার ১২ কানী (৩৬ বিঘা) জমি। আমি কি টাকা টোকাব? ও দেশে আমার বাবা-দাদার কবর । শান্তি হলেই চলে যাব।’
...শান্তি কি আর আসবে কখনো? কে জানে? আপাতত: এর বেশি লিখতে পারছি না। ভয়ানক ক্লান্ত।
- কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, তাপমাত্রা নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে
- সাময়িক বন্ধের পর খুললো যমুনা ফিউচার পার্ক
- ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণ গেল
- ৫৭ বয়সেও মাধুরী দীক্ষিত যেন পঁচিশের তরুণী!
- জেনে নিন ভাপা পিঠার সহজ রেসিপি
- প্রথমবার দুঃসাহসিক অভিযানে ইহুদি মেয়েরা
- রোববার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- ডেঙ্গুতে এ বছরেই ৫১ শিশুর প্রাণহানি
- রাজাপুরের বধ্যভূমি আজো অরক্ষিত
- বিশ্বের সবচেয়ে খাটো দম্পতির গিনেস রেকর্ড
- সাগরে আরেকটি লঘুচাপ, যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- সম্পদের হিসাব জমা না দিলে শাস্তি হতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের
- ‘নারীরা লড়াই করেছেন সমানতালে, এখন কেন আড়ালে’
- ঢাকার বাতাস আজও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
- সড়ক দুর্ঘটনায় পরীমণির প্রথম স্বামী নিহত
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে
- সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২
- পঞ্চগড় থেকে দেখে আসুন কাঞ্চনজঙ্ঘা
- গৃহশ্রমিক মেয়েদের দিন কষ্টে কাটে
- জীবনে প্রেম এসেছে ৬ বার: স্বস্তিকা