ঢাকা, মঙ্গলবার ০১, এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৬:৫৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাজধানীতে বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিল যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়বই: প্রধান উপদেষ্টা বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল কানায় কানায় পূর্ণ শোলাকিয়া ঈদগাহ জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

শীতের রাতে রুম হিটার চালিয়ে ঘুমান? জানুন এর ক্ষতি

প্রযুক্তি ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শীতের রাতে রুম হিটার চালিয়ে অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে বিরাট ক্ষতি হচ্ছে শরীরের। তাই এই অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা, বদ্ধ ঘরে স্পেস হিটার চালিয়ে ঘুমোলে তা কিন্তু প্রাণঘাতী হয়ে যেতে পারে। 

প্রতিবছর শীতে হিটার চালিয়ে ঘুমোনোর ফলে প্রচুর মানুষের প্রাণ যায়। এমন ঘটনা সংবাদমাধ্যমের হামেশাই প্রকাশিত হয়।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শীতের রাতে ঘরে হিটার চালানোর সময় ব্যবহারকারীরা বেশ কিছু ভুল করে ফেলেন। আর যার জেরে ঘনিয়ে আসতে পারে মৃত্যুও। তাই জেনে নেওয়া যাক, হিটার চালানোর ক্ষেত্রে কী কী ভুল না করাই উচিত।

বদ্ধ ঘরে রুম হিটার চালানো: অনেকেই শীতের রাতে দরজা-জানলা বন্ধ করে রুম হিটার চালিয়ে ঘুমোন। এই অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে। কারণ বদ্ধ ঘরে রুম হিটার চালালে ঘরের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা কমবে। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত পরিবহণ সঠিক থাকবে না। যার জেরে ব্রেন হেমারেজ অথবা মৃত্যু অবধারিত।


হার্টের রোগীদের জন্য: যাদের হার্টের রোগ রয়েছে, তারা যদি রুম হিটার চালিয়ে ঘুমান, তাহলে তারা কার্বন মনোক্সাইডের সংস্পর্শে আসবেন। যা অতিরিক্ত জটিলতার আশঙ্কাও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।


কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের উপসর্গ: ঘরে হিটার চালিয়ে রাখলে ব্যবহারকারীর দেহ কার্বন মনোক্সাইডের সংস্পর্শে আসার ফলে তা থেকে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হল - মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো এবং গা-বমি ভাব। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই সমস্ত উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হিটার বন্ধ করে দরজা-জানলা খুলে দিয়ে সতেজ হাওয়ায় শ্বাস নিতে হবে।

গ্যাস হিটার: শুধু রুম হিটারই নয়, গ্যাস হিটারও বিপদ ডেকে আনতে পারে। আসলে গ্যাস হিটার চালিয়ে রাখলেও ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ফলে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

চোখ এবং ত্বকের জন্য: রুম হিটার চালিয়ে রাখলে তা ত্বক এবং চোখের আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। ফলে চোখ আর ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, লালচে ভাব, অ্যালার্জি এবং অস্বস্তি হতে পারে। বিশেষ করে রুম হিটার চালিয়ে রাখার ফলে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠার সমস্যাও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এই সমস্ত ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি আরও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দাহ্য বস্তু হিটার থেকে দূরে রাখতে হবে আর শক্ত কোনও জায়গার উপরেই রাখা উচিত হিটার। ঘরে না থাকাকালীন কিংবা ঘুমোনোর সময় হিটার চালানো উচিত নয়। বন্ধ করে সব সময় প্লাগ খুলে রেখে দিতে হবে সেটি।