ঢাকা, শুক্রবার ২১, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৯:৫১:৩০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
১৮ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল পেলেন একুশে পদক ১৮ বছর পর সব মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন খালেদা জিয়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা গাজায় ১১০৯ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরতের নির্দেশ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রতিবেদন মার্চেই দাখিলের আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী মার্চেই দাখিলের আশা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

তিনি বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী মার্চের মধ্যেই দাখিল করা সম্ভব হতে পারে।

অবশ্য, এটা কোনো ফাইনাল টাইমলাইন নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুটি মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এমন তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর।

এর আগে হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও দুই মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের বর্তমান স্ট্যাটাস, অর্থাৎ কোন পর্যায়ে তদন্তটা আছে, সেটা আদালতে বলেছি। আমরা আশা করি আগামী মাসের মধ্যে বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হতে পারে বলে আশা করছি। তবে, এটা কোনো ফাইনাল টাইমলাইন নয়। 


তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনের মধ্যে জাতিসংঘের প্রতিবেদন ন্যাচারালি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করছি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উপাদানগুলো চেয়েছি। সেগুলো সংগ্রহের একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। যতটুকু পাওয়া যাবে সেটাকে তদন্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত করবো। এটা মামলা প্রমাণের জন্য বড় এভিডেন্স হিসেবে কাজ করবে। এ জন্য দুই মাসের সময় চেয়েছিলাম। আদালত ২০ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ রেখেছেন। আমরা আশা করছি, এর আগেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্তের একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। আশা করছি খুব দ্রুত রিপোর্টগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে।

স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারে করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ভিত্তিতে। সে আইনে অপরাধীদের বিচারও চলে আসছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর সে আইন নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে। উল্লেখযোগ্য সংশোধনী আনা হয় আইনে। শুধু আইনেই নয়, মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনকে।

গত ২৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার হবে সংশোধিত এ আইনে। আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনার পাশাপাশি বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তার মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা, ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, সাবেক সচিব, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা।