ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৯:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বাহাত্তরেও সুরের জাদু ছড়াচ্ছেন রুনা লায়লা ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট লাফিয়ে বাড়া স্বর্ণের দামে হঠাৎ পতন, জানা গেল কারণ বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৬ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ দগ্ধ ৪ মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে মাঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নীলফামারীরজেলায় হলুদ সরিষার ফুলে ভরে গেছে মাঠ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষা আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে। ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে অতিরিক্ত আবাদ হয়েছে ৫ হেক্টরে। ওই ৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টরের মধ্যে আবাদ হয়েছে জেলা সদরে দুই হাজার ৫৪৫ হেক্টর, সৈয়দপুরে ২৭৫ হেক্টর, ডোমার ৪৯০ হেক্টর, ডিমলা ৮২০ হেক্টর, জলঢাকা ৮৪৫ হেক্টর ও কিশোগঞ্জ উপজেলায় ৫৮০ হেক্টরে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৮৬০ টন সরিষা।
কৃষকরা বলছেন, আমন আবাদের পর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়। এরপর ওই জমিতে বোরো ধানের আবাদ হবে। এতে করে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো আবাদে কম খরছে অধিক ফলন পাওয়া যায়। পাশপাশি মধ্যবর্তী সময়ে বাড়তি ফসলের আয়ে বোরো আবাদের সেচ, সারসহ অন্যান্য খরচ সহজে মেটানো সম্ভব হয়।
জেলায় এবছর উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। মাত্র ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে এসব জাতের ফসল ঘরে তুলতে পারেন কৃষক। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় দেড় হাজার কেজি পর্যন্ত। বাজারে প্রতিমন সরিষা এক হাজার ৮০০ থেকে এক হাজার ৯৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা সম্ভব।
নীলফামারী সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া, ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক সফিউদ্দিন (৫৫) জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে (হাল, বীজ, সার) খরচ হয় দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি বিঘায় সাত থেকে আট মন ফলন পাওয়া যায়। বাজারে প্রতিমন এক হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলে দাম পাওয়া যাবে ১৫ হাজার ২০০ টাকা। এতে খরচ বাদে লাভ হবে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। আমন এবং বোরো আবাদের মধ্যবর্তী ওই ফসলের আয়ে খুব সহজে বোরো আবাদের খরচ মেটানো সম্ভব।
একই গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী জানান, সরিষা চাষে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। বোরো ধানের ফলনও বেশী হয়।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, সরিষা চাষের পাশাপাশি মৌ চাষ করে অধিক আয় করা সম্ভব। এবার সদরে ২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শতভাগ অর্জন হয়েছে। পাশপাশি কৃষকদের মৌ চাষের মাধ্যমে সরিষা থেকে মধু আহরণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে। অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষরা সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন। ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।