ঢাকা, শনিবার ২৩, নভেম্বর ২০২৪ ৩:০৫:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ঢাকায় আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারের গণসংবর্ধনা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে, বাড়ছে শীতের তীব্রতা পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির দাম কমলেও আলুর দাম বাড়তি রাজধানীতে মা-মেয়েকে এসিড নিক্ষেপ করে ছিনতাই

সৃজিতের স্ত্রী পরিচয়ে সুবিধা নেই: মিথিলা

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ২ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দুই বাংলার সমানভাবে কাজ করে চলেছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সম্প্রতি ওপার বাংলায় মিথিলা অভিনীত ছবি ‘ও অভাগী’ মুক্তি পেয়েছে। ছবির প্রিমিয়ারে ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের কাজ এবং ব্যক্তিগত নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোট গল্প ‘অভাগীর স্বর্গ’ অবলম্বনে অনির্বাণ চক্রবর্তীর তৈরি করেছেন ছবি ‘ও অভাগী’।

এই ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা কাজ করেছেন। মিথিলার আরও এক পরিচয় হলো তিনি জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির স্ত্রী।
এসময় ছবি নিয়ে মিথিলা বলেন, ‘ও অভাগী’ মোটেই সহজ চরিত্র নয়। দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। অভাগী শহুরে ভাষায় কথা বলে না। তার কথায় আঞ্চলিক ভাষার টান রয়েছে। সেটা আমায় অনুশীলন করতে হয়েছে। এ ছাড়া ‘অভাগী’র ‘কাঙালির মা’ হয়ে ওঠার যাত্রাটা আমাকেও আবেগপ্রবণ করেছিল।
‘ও অভাগী’ ছবির আগে টালিউডের প্রথম ছবি ‘মায়া’ করেছিলেন মিথিলা। ‘মায়া’ ছবির প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মায়া’-তে অন্তত আমার চরিত্রের খুব ভাল প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। ‘ও অভাগী’ যারা দেখলেন, তারাও ভাল বলছেন। একটু নার্ভাস লাগছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ছবিটা খুব ভাল হয়েছে।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী- এই পরিচয়ের জন্য কি অন্য পরিচালকদের থেকে ছবির প্রস্তাব কম আসে? এমন প্রশ্নে মিথিলা বলেন, আমরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বাস করি। তাই এই রকম একটি তকমা (ভাবনা) এই একবিংশ শতাব্দীতেও থাকা খুবই লজ্জাজনক। এটুকুই। তবে আমার মনে হয় না, এই তকমা আলাদা কোনও প্রভাব ফেলছে।

এই পরিচয়ের কোনও সুবিধা রয়েছে? মিথিলার উত্তর- এর কোনও সুবিধা নেই। তবে অসুবিধা রয়েছে। কারণ আমার নিজের শক্তিশালী একটা পরিচয় রয়েছে। আমাকে বাংলাদেশে সকলে চেনেন। কারণ আমি অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি একজন উন্নয়ন কর্মী, একজন গবেষণার ছাত্রী। আমার আরও বহু কাজ রয়েছে। এই বাংলায় শুধু আমাকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী হিসেবেই দেখা হয়। অবশ্যই আমি তাকে বিয়ে করে এখানে এসেছি। কিন্তু শুধুই এই পরিচয়তেই মানুষ চিনছে, সেটা দুঃখজনক।