ঢাকা, মঙ্গলবার ২২, অক্টোবর ২০২৪ ৮:৪৬:৫১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আমার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই: রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের নামে হত্যা মামলা নির্মম নির্যাতনে গৃহকর্মী কল্পনা যেন জীবন্ত লাশ নড়াইলে প্রাথমিক শিক্ষিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব পরিয়ে পালালো যুবক সব শিক্ষা বোর্ডে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ খুলনায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মীর পূজা আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান লক্ষ্মীপূজা আজ বুধবার। শারদীয় দুর্গোৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে ঘরে ঘরে ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে লক্ষ্মীপূজা করে থাকেন বাঙালি হিন্দুরা। শাস্ত্রমতে, লক্ষ্মী ধনসম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী।

মা দূর্গা ফিরে গেছেন স্বামীবাড়ি। মায়ের ফেলে যাওয়া মন্ডপ, সাজগোজ, অষ্টমীর অঞ্জলি সব যেন খাঁ খাঁ করছে। ভক্তের ভারাক্রান্ত মন, তবু তার মধ্যেই আবার জ্বলে উঠবে প্রদীপ। কারণ মায়ের লক্ষ্মীমন্ত কন্যার পুজো বলে কথা। দেবী লক্ষ্মীকে আজ বুধবার পূজা দেবেন সনাতনধর্মাবলম্বীরা। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে এ পূজা হয়ে থাকে।

লক্ষ্মী বাহন পেঁচা। বিষ্ণু রাম ও কৃষ্ণ রূপে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষ্মী সীতা ও রাধা রূপে তাদের সঙ্গিনী হন। কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে ভক্ত গৃহে আসেন। প্রাচীনকাল থেকেই রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ অব্দি সবাই দেবী লক্ষ্মীর পূজা দিয়ে আসছেন।

লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলো পাঁচালীর আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালী বলা হয়। লক্ষ্মীপূজার গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হলো— সিঁদুর, ঘট, ধান, মাটি, আম্রপল্লব, ফুল, দুর্বা, তুলসীপাতা, হরীতকী, চন্দন, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, আতপচাল ও জল। লক্ষ্মীপূজায় মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় শোভা পায় চালের গুঁড়োর আল্পনায় লক্ষ্মীর ছাপ। এ উপলক্ষে রমণীরা উপবাসব্রত পালন করেন।

লক্ষ্মীপূজায় রাত্রি জাগরণ করা হয়। কোজাগরী অর্থাৎ কে জাগরী বা কে জেগে আছ। শাস্ত্র মতে এই রাতে লক্ষ্মী সবার বাড়িতে যান। যে গৃহের দরজা বন্ধ থাকে ও গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে লক্ষ্মী ফিরে আসেন। এ কারণে এই লক্ষ্মী পূজাকে কোজাগরী বলা হয় এবং রাত্রি জাগরণের নিয়ম রয়েছে। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পূজা হয়ে থাকে। গৃহস্থরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পূজা করেন।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুর সহধর্মিণী। সম্পদ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের এ দেবী পদ্মফুলের ওপর উপবেসন করেন। তিনি পূজারিদের ধনসম্পদ দান করে থাকেন। তাই বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরেই আজ এ আয়োজন। বিশেষ করে যে বেদিতে দুর্গাপূজা হয়, সেই বেদিতে লক্ষ্মীর আরাধনা করতেই হবে। সাধারণত লক্ষ্মীপূজায় পঞ্চোপচার, দশোপচার বা ষোড়শোপচারে করা হয়ে থাকে। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপবাস করেন গৃহবধূরা। পূজাস্থলে নানা আলপনাসহ গৃহের বিভিন্ন স্থানে তারা অঙ্কন করেন দেবীর প্রতীকী পায়ের ছাপ। পূজা শেষে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয় প্রসাদ।