ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৬, মার্চ ২০২৫ ২০:২৩:৪৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ব‌রিশা‌লে গ্রিন লাইন পরিবহনের চলন্ত বাসে আগুন ভাষানটেক বিআরপি বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে লাহোর রাজধানীর ভাষানটেকের বস্তিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে গাবতলীর বস্তির আগুন: পুড়ল দেড়শো ঘর, দুটি বাস

স্তন ক্যানসারে আতঙ্ক নয়, সচেতনতাতেই মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৮ পিএম, ২৩ মে ২০২৩ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যায় হলেও পুরুষরাও এই ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। একসময় প্রচলিত ছিল ক্যানসার মানেই মৃত্যু। তবে এখন এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রতিষেধক গ্রহণ করলে ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

ক্যানসার গবেষণাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসির হিসাব বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজারের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। মারা যান ছয় হাজারের বেশি। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ স্তন ক্যানসারে ভোগেন। নারী-পুরুষ মিলিয়ে এর হার ৮.৩ শতাংশ।

এ দিকে, বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যানসারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যানসার শীর্ষে রয়েছে। স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়। সেটি রক্তনালীর লসিকা ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যানসার।

চিকিৎসকদের মতে, যেকোনো নারীই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। বাংলাদেশে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত পুরুষ রোগীও পাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে পুরুষরা অনেকেই স্তন ক্যানসার নিয়ে কথা বলতে চান না।

স্তন ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে দ্রুত শনাক্ত করা গেলে পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব। সেজন্য বাড়িতে বসেই নিজের স্তন পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের মতে ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা উচিত।

ঝুঁকিতে আছেন যারা-

পরিবারে মায়ের দিকের নিকটাত্মীয় কারও স্তন ক্যানসার হয়ে থাকলে একজন নারীর স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে।

১২ বছর বয়সের পরে মাসিক হলে এবং ৫৫ বছর বয়সের পরেও মেনোপজ না হলে, অর্থাৎ দেরিতে মেনোপজ হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পোস্ট মেনোপোজাল সিন্ড্রোমের চিকিৎসা হিসেবে পাঁচ বছরের বেশি হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি নিলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ৩০ বছরের বেশি বয়সে গর্ভধারণ, শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, জিনগত মিউটেশনের কারণেও স্তন ক্যানসার হতে পারে।

নিয়মিত শরীরচর্চা না করা, স্থূলতা, ধূমপান ও মদ্যপান স্তন ক্যানসারের কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।

নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকলেও, পুরুষেরাও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে এই রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব। আর সেজন্যই বাড়িতে বসেই নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

নারীরা প্রতি মাসে একবার মাসিক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চম অথবা সপ্তম দিনে স্তন এবং বগলের নিচের অংশ পরীক্ষা করতে পারেন।

স্তন ক্যানসারের উপসর্গ-

স্তনের চারদিকে বগলের ভিতর বা আশপাশে কোনো স্থান ফুলে ওঠা কিংবা আলতো করে ছুঁয়ে দেখলে কোনো শক্ত চাকার মতো অনুভব হওয়া

স্তনের কোন অংশ ফোলা বা ব্যথা হওয়া, স্তনের চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা স্তনের চামড়ার রং বা আকৃতিতে পরিবর্তন হওয়া

দুই স্তনের আকারে পরিবর্তন হওয়া

স্তনের আশপাশে লাল হয়ে যাওয়া

স্তনের কোন অংশ ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া

স্তনের বোঁটা দিয়ে রস বের হওয়া

এর মধ্যে এক বা একাধিক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

চিকিৎসা-

স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন- ক্যানসারের ধরন ও আকার, ক্যানসার স্তনে সীমাবদ্ধ আছে নাকি অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়েছে ইত্যাদির ওপর। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে চার ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বলে থাকেন চিকিত্সকরা।