ঢাকা, রবিবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩২:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ নারীর মৃত্যু আবারও মেট্রোরেলের এককযাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ যানবাহনের, বহু হতাহতের শঙ্কা রাশিয়ায় বহুতল ভবনে ৯/১১ স্টাইলে ড্রোন হামলা

১০০ পোশাক কারখানা বন্ধ, বেকার ৫০ হাজার শ্রমিক: বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০০ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দেশের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে। কিন্তু এ শিল্পের সংকট যেন কাটছেই না। শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালা‌নি সংকটসহ নানা সমস্যায় ভুগছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প।
সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

সংগঠনটি বলছে, গত ৬ মাসে এ খাতে ১০০ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। বেকার হয়েছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছে না অন্তত ১৫৮টি কারখানা।

শিল্প মালিকদের অভিযোগ, সংকট সমাধানে বড় কারখানাগুলোর দিকে নজর দিলেও ছোটগুলো থাকছে অবহেলায়। ছোট শিল্পের প্রতি অসম পলিসি নিয়েছে সরকার।

শিল্প মালিকরা বলছেন, জ্বালানি সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ ও ব্যাংক খাতের অস্থিতিশীলতা এ খাতের প্রভাব ফেলছে।

মিথিলা অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান আযহার খান বলেন, সরকার যদি আমাদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তবে এ সংকট অনেক কমে যাবে। আমরা টিকে থাকতে পারবো। যদি এলপি গ্যাস দিয়ে আমাদের কারখানা চালাতে হয় তবে অনেক খরচ পড়বে। এত খরচ বাড়িয়ে উৎপাদনে টিকে থাকা কোনভাবেই সম্ভব নয়।


বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইন্ডিভিজ্যুয়াল কারখানগুলো খারাপ অবস্থায় আছে। সার্বিকভাবে এ খাতের অবস্থা খুবই খারাপ। ঢাকা, চট্টগ্রাম মিলে প্রায় ১০০ সকারখানা বন্ধ আছে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। ১৫৮ কারখানা বেতন দিতে পারছে না ঠিকমতো।


তিনি বলেন, সংকট সমাধানে বড় কোম্পানিগুলো সরকারের নিয়ম মেনে সহায়তা পেলেও ছোট শিল্প উদ্যোক্তারা তা পাচ্ছে না। ৯ শতাংশ বেতন বাড়ানো হলো, আমরা সবাই মিলে সাইনের পরেও শ্রমিক অসন্তোষ কমছে না। বড় শিল্পগুলো রুগ্ন হচ্ছে যেমন বেক্সিমকো। তার প্রতি আমরা নজর দিচ্ছি, কিন্তু ছোট-মাঝারি অনেক কারখানাও খারাপ অবস্থায় আছে। শুধু বড়গুলো দেখবো, ছোটগুলোকে দেখবো না এটা তো হতে পারে না। এটা অসম পলিসি। এসব সমস্যার কারণে বায়াররা অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান তিন দেশেই রপ্তানি বেড়েছে। সুতরাং আমাদের এখনই সাবধান হতে হবে।