১১৯১-মজিবর
শান্তা ফারজানা | উইমেননিউজ২৪.কমআপডেট: ০৯:৪৫ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৭ মঙ্গলবার
মিনু সুচিবাই সম্পন্ন একজন মহিলা। তার ওপর ডায়াবেটিস আছে। দুটো মিলিয়ে বেশ অস্থির করে রাখে নিজেকে এবং চারপাশের পরিবেশকে। তবে আরিজ অস্থির হয়না। এখনও সে সেই ৮ বছরের আগের মিনুকেই দেখতে পায়। এখনও তার চোখের সামনে সেই সোনালী তিনটি সপ্তাহ দোলা দিয়ে যায়। দিনগুলোতে ফোনালাপ আর টকটকে গোধূলী তাদের উন্মুখ করে রাখতো। আরিজ এখনও মিনুর গায়ের থেকে সেই গন্ধটাই খুঁজে পায় যেটা সে ৮ বছর আগের অনাকাঙ্খিত বৃষ্টিতে ভেজা মিনুর ওড়না থেকে পেয়েছিল। অথচ এখন ধনিয়া পাতা ছাড়া রান্না মজা হয় না, তেজপাতা-দারুচিনি-এলাচ ছাড়া রং চা আবার খায় কিভাবে, আদাবাটা-রসুনবাটা ছাড়া মুরগি রান্না অসম্ভব, শিং মাছ ছাড়া তরকারি জঘন্য- এসব ইত্যাদি ইত্যাদি করে মিনু সর্বদা খুঁত খুঁত করতে থাকে। তার উপর রান্নাঘরের ড্রয়ার-বক্স, ফ্রিজের তলা, সোফার পেছনের দিকের কাঠ ও মেঝে, মসলার বয়াম বার বার মুছতে থাকে। হাজারো অনুযোগের ভিড়ে মিনুকে কিছুটা শান্তি দিতে আরিজ ফ্রিজে বক্স ভরে ধনিয়া পাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখে, বয়াম ভরে গরম মসলা রাখা, ব্লেন্ডার আদা-রসুনের পেস্ট করে রাখা, প্লাস্টিকের বড় বোল ভরে শিং মাছ জিইয়ে রাখাসহ ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করে। সময় পেলে পরিচ্ছন্নতার কাজে সাহায্যও করে মিনুকে। তবুও কেন যেন মিনুকে সন্তুষ্ট করা যায় না। কোন সারপ্রাইজে সে চমকে উঠে না, কোন গিফটে তার মুখে হাসি নেই, কোথাও বেড়াতে যাওয়া কিংবা রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ায় কোন আগ্রহ দেখায় না। কেবল শীতল বাদামী দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে থাকে। প্রয়োজন ছাড়া কথাও বলতে চায় না সে।
- এই যে আঙুরির মা, কী ব্যাপার বল তো?
- কী হইছে খালা?
- কী হইছে জিজ্ঞাস কর না? এই দেখ শিং মাছগুলো ডলা দিছো যে হইছে? দেখ পাখনার
মধ্যে কেমন কালো কালো।
- খালা ডলা দিছি তো। পাখনাটা একটু কাইট্টা ফালাইলেই তো ভালা হইবো।
- আমাকে তুমি ভালো শিখাইতে আসছো? হাউসের পাকার মধ্যে মাছগুলারে ভাল কইরা
ডলা দিবা তা না, আমারে ভালো শিখাও। নাও আবার ডলো......।
মিনু আর কাজের বুয়ার অথর্ব কথোপকথন ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটায় আরিজের। আরিজ একটা আর্টিকেল লিখছিল। দেশের অপরিকল্পিত ডাস্টবিন আর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উপর। লেখাটা আগায় না। শেষ বিকেলে শার্ট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পানি ভরে গেছে এদিকটাতে। হাটার তো কোন উপায় নেই-ই, গাড়িতে উঠলেও ভয় লাগে। সে অটোতে উঠে; মেইনরোডে যাবে। ফ্লাইওভারের নিচে কয়েকটা চায়ের দোকান আছে। একটু সময় কাটবে। রাস্তায় বিলসম পানি। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে এই অবস্থা। তবে এই চিত্র নতুন নয়। বাসাবোর এই এলোমেলো রাস্তায় এটা খুবই সাধারণ বিষয়। কোথাও গোড়ালী বোঝাই কাদাপানি, কোথাও আবার হাঁটুতোলা। মানুষ যে গাড়ি থেকে নেমে হেটে চলে যাবে তার কোন সুযোগ নেই। জ্যাম লেগে গেছে। ধীরে ধীরে চলছে রিকশা, সি-এনজি, অটো। আরিজের বিরক্ত লাগতে থাকে। কিন্তু কিছুই করার নেই। প্রচন্ড জ্যাম, অটোওয়ালা কদমতলী দিয়ে ঘুরে বাসাবোর খেলার মাঠের কোণায় এসে দাঁড়ালো। হঠাৎই ঘটলো এক ঘটনা। কিশোরী একটা মেয়ে। ক্লাস নাইন বা টেনে পড়ে। উজ্জল স্কার্ফে মোড়া গোলগাল চেহারা। কাঁধে ব্যাগ। রিকশায় যাচ্ছিল বিশ্বরোডের দিকে। আচমকা রিকশাটার একটা চাকা প্রচন্ড আওয়াজ তুলে পড়ল গিয়ে গর্তের ভেতর। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটাও পড়ে গেল পানির মধ্যে। উঠে দাঁড়াতে পারছিলো না। ব্যাথায় কোকাচ্ছিল ভীষণ। মেয়েটার দিকে সুবিধাবাদী-ব্যথিত-স্পর্শকাতর কতক হাত এগিয়ে আসে। আরিজের খুব খারাপ লাগতে থাকে। সে যায় ১৫ বছর আগেকার স্মৃতির বালুচরে। তার ছোট বোন ইরামণি। দশ বছরের ছুটন্ত পাখির মত ছিল। কাঁশফুলের মত ভেসে বেড়াত হাওয়ায়। তৃতীয় শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী ইরা নিজের পড়া শেষ করে পাশের বাড়ির তিনজন নিরক্ষর মহিলাকে লেখাপড়া শিখাত। হাসত, খেলত আবার বিজ্ঞদের মত দেশের কথা-দশের কথাও ভাবতো। মাত্র তিনদিনের জ্বর ইরাকে পৃথিবী থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘটে গেল সব। ঘন ব্লাড নিঃসরণ হয়ে মৃতসর্বস্ব হয়ে গেল বাচ্চা মেয়েটা। গভীর রাতে হাসপাতালে নেওয়ার পরও রক্ত দেওয়ার জন্য ওর নার্ভ আর খুঁজে পাচ্ছিল না ডাক্তাররা। হাতে পায়ে ইনজেকশন ইনপুশ করে করে ছিদ্র করে ফেলেছিল কচি শরীরটাকে। ঘুমিয়ে গেল বোনটা। ঝরে গেল অকালে। ডাক্তাররা অবশ্য ডেঙ্গু, ইন্টারনাল হ্যামারেজ বলে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। আরিজের চোখে আজও পানি জমে উঠে। তার ঝাপসা দৃষ্টির সামনেই যেন হেঁটে চলে গেল ইরা। হঠাৎ ওর মনে হল কেউ ডাকছে ভাইয়া ভাইয়া। আরিজ দশ টাকা দিয়ে নেমে যায় অটো থেকে। তোয়াক্কা করে না জমে থাকা নোংরা পানির। ভেসে থাকা ডাস্টবিনের ময়লা-পলিথিন ডিঙিয়ে এগিয়ে যায়। মেয়েটা চরম ব্যথায় কোকাচ্ছে। সামনে দাঁড়ানো এক মহিলাকে অনুরোধ করে তাকে ধরে তোলার জন্য। সিএনজিতে মেয়েটাকে এক পাশে শুইয়ে দিয়ে দ্রুত সিএনজি চালাতে অনুরোধ করলো ড্রাইভারকে। মেয়েটার নাম সাদিয়া। ওর ডানপা টা বেকায়দায় গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে ভেঙে গেছে। এসবি হাসপাতালে ওয়ার্ডে রেখে সাদিয়ার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে ওর বাবাকে ফোন করে আরিজ। ওর পকেটে মাত্র ১৬৪ টাকা ছিল। ১৫০ টাকা সিএনজি ভাড়া দেয়ার পর আছে মাত্র ১৪ টাকা। আহত মেয়েকে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে দিতে রাত প্রায় ৯টা বেজে গেল। তবুও সন্তুষ্ট চিত্তে বাড়ির পথে হেঁটেই রওয়ানা দেয় আরিজ। একটি অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনায় কেঁপে উঠে মন। আহা, আমাদের দেশের মেয়র, কাউন্সিলর, এমপি, মন্ত্রী সব ঘুমায়। ভোটের আগেই কেবল তাদের লোক দেখানো ঢাক ঢোল বাজে। এরপর আর দেখা যায় না, ধরাতো অনেক দূরের। এই এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা এতটাই দুর্বল যে একটু বাদলেই পানি জমে যায়। আর বিশেষ করে এই মোড়ে। একে তো রাস্তা সংকীর্ণ তার উপর ডাস্টবিনের দম বন্ধ করা অবস্থায় মানুষের চলাই দায়। আর এরপর যদি খাড়ার ঘা হিসেবে জমে যায় এমন ছলাৎ ছলাৎ পানি তাহলে তো কথাই নেই। নোংরা পানি মাড়িয়ে বিস ময় মন নিয়ে প্রায় ১০ টা বেজে ২০ মিনিটে বাসায় ফিরল। মিনু টিভি দেখছিল। বিরস মুখে দরজা খুলে আবারো টিভির সামনে গিয়ে বসলো। কী একটা রিয়ালিটি শো দেখাচ্ছে। আরিজ ভিজে নেয়ে একাকার। সেদিকে কোন লক্ষ্য নেই তার। দেখেও না দেখার ভান করছে। কাপড় পাল্টে প্লেটে ভাত বেড়ে নিয়ে বউয়ের পাশে গিয়ে বসলো আরিজ। বুঝলে আজ কি ঘটেছে। রাস্তায় যেই রকম পানি জমে গিয়েছে...। ভাত খেতে খেতে পুরো ঘটনার বিবৃতি দিতে থাকলো আরিজ। মিনুর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আরিজের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে কারেন্টের বিলের কাগজটা এনে টেবিলের উপর রেখে দিল। তারপর হাই তুলতে তুলতে চলে গেল ঘুমাতে।
আরিজ এককাপ চা নিয়ে বারান্দায় এসে বসে। সাদিয়ার বাবাকে ফোন করে ওর খবর নেওয়ার জন্য। গোড়ালীর হাড় ভেঙ্গে গেছে। ভাগ্য ভালো যে দুই হাড়ের জয়েন্টে ভেঙ্গেছে তা না হলে প্রচুর ভোগান্তি হতো। যাক এই ঘটনা নিয়েই একটি কলাম লিখতে শুরু করে সে। কলামিস্ট হিসেবে তাঁর একটা সুনাম আছে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন পত্রিকায় তাঁর লেখা ছাপা হয়।
এর পরের দিনই আরিজ তার ছোট ভাইদের ডেকে মানববন্ধনের ব্যবস্থা করে। কলেজ জীবন থেকেই সে নানা সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। ১৫ জন মিলিত হয়ে সেই মোড়টাতেই এমন ময়লা পানিকেই উপেক্ষা করেই মানববন্ধন করে। মেয়রের পদত্যাগ ও সাদিয়ার জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে ব্যানার করেছে তারা। সাদিয়ার বাবাও তার সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে। এরপর থেকে তারা লাগাতার মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে এবং স্থানীয় অনেকেই তাদের সাথে সম্মতি দেয়। আরিজের সাহস ও উদ্দীপনা বাড়তেই থাকে। মানুষ আসলে সবসময়ই সত্যের পথে থাকে। আরি আর তার সংগঠনের সকলে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একই ইস্যুতে সমাবেশ করবে। সেদিন আহত সাদিয়াকেও হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে সাদিয়ার বাবা। বাংলাদেশে তাহলে এখনও ভালো মানুষ আছে- এই কথাটা বার বারই বলেছেন সাদিয়ার বাবা। তিনি খুবই উৎসাহ দিচ্ছেন আরিজদের। আরিজ ফেসবুকসহ গণমাধ্যমগুলোতে নিয়মিত পোস্ট করে আসছিল তাদের প্রোগ্রামের ছবি আর নিউজগুলো। আর সেই সঙ্গে সকলকে নিমন্ত্রণ করছে প্রোগ্রামে আসার জন্য। ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। রীতিমত তোলপাড় অবস্থা। তাছাড়া স্থানীয় মানুষও আসবে দলে দলে। আর সাদিয়ার পরিবারসহ আত্মীয় ও শুভাকাঙ্খীরাও থাকবেন। এবার টনক যদি নড়ে সরকারের। দীর্ঘশ্বাস ফেলে আরিজ। সত্য ও সাহসের পথে তার সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানায় মনে মনে।
মিনু কখনোই হাসতো না। সব কিছুর মধ্যে ঋণাত্মক গন্ধ খোঁজার ব্যতিক্রম দোষ ছিল তার। কিন্তু আজ তার চোখে পানি। রাস্তায় ময়লা পানির সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে তার গাল গড়ানো নোনা জল বিন্দু। সে বসে আছে বাসাবো খেলার মাঠের কোণে। থকথকে কাদা জমাট বাধা এখানে সেখানে। ৩৭ বছরের একটা টগবগে যুবকের লাশ পড়ে আছে। পুলিশ বলছে সে নাকি রাতে মদ খেয়ে মাতলামি করে বেড়াচ্ছিল রাস্তায়। হঠাৎ ইটবাহী একটা ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে এই অবস্থা তার। চারপাশে উৎসুক দৃষ্টি। মিনু কিছু বলছে না। কোলের উপর আরিজের মাথাটা নিয়ে বসে থাকে চুপচাপ। আজকে সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে সাদিয়ার জন্য নিবেদিত প্রোগ্রামটা হয়তো আর হবে না। আরিজের রক্ত চুইয়ে চুইয়ে জমে আছে সামনের বড় লোহার ডাস্টবিনের গোড়ায়। সেখানে ফ্যাকাশে অক্ষরে লেখা ১১৯১-মজিবর . . .
লেখক: শান্তা ফারজানা; প্রিন্সিপাল, সাউন্ডবাংলা কিডস গার্ডেন।
- কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় নারীসহ ৫ অটোরিকশা যাত্রী নিহত
- রোজ চিকেন খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে
- উত্তর জনপদে জেঁকে বসছে শীত, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৩
- বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চললো পরীক্ষামূলক ট্রেন
- মোল্লা কলেজ প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
- তিনবার যমুনা নদীতে বিলীন স্কুল, দুর্গন্ধের মধ্যে ক্লাস
- ফের শাকিবের সিনেমায় ওপার বাংলার নুসরাত
- গ্রীসে অভিবাসীদের নৌকাডুবি: ৬ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
- ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে নীলফামারী
- বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত
- খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানাল সৌদি আরব
- সকালেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর`
- লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, যেমন থাকবে আবহাওয়া
- জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে
- ঘুরে আসুন পানামসহ না.গঞ্জের পাঁচটি পর্যটন স্পট
- আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল শুরু
- বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
- হেমন্তে ছাতিম ফুল সুগন্ধ ছড়িয়ে যায়
- শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকিও
- রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেলে
- ‘রিমান্ড’-এ মম
- পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াল ভারতের মেয়েরা
- সৈয়দ শামসুল হকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২
- পঞ্চগড় থেকে দেখে আসুন কাঞ্চনজঙ্ঘা
- জীবনে প্রেম এসেছে ৬ বার: স্বস্তিকা
- গৃহশ্রমিক মেয়েদের দিন কষ্টে কাটে
- এইচএসসির ফল দেখবেন যেভাবে