২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত-নিঃসন্তান থাকবেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
বর্তমানে নারীরা নিজের জীবন নিয়ে বেশ সচেতন বলা যায়। সংসারের পরিবর্তে তারা ক্যারিয়ারের দিকে বেশি ফোকাস করছেন। বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে এখন বিবাহিত জীবন একমাত্র কাম্য নয়। কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, স্বাধীনভাবে বাঁচা যায়, নিজের স্বপ্ন পূরণ করা যায় তা নারীদের প্রাথমিক লক্ষ্য হয়েছে।
তবে ক্যারিয়ারের প্রতি বাড়তি নজর এই প্রজন্মকে অন্য দিকে টেনে নিতে পারে। এমনটাই বলছে গবেষণা। ধারনা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত থাকবেন।
সম্প্রতি, মরগান স্ট্যানলি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই সব তথ্য। সাম্প্রতিক এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে, ২৫ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রায় ৪৫ শতাংশ নারীই নিঃসন্তান ও অবিবাহিত হয়ে জীবন কাটাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগেও মেয়েরা একা থেকেছেন। তবে সেই সংখ্যা ছিল অনেকাংশে কম।
কেন নারীরা অবিবাহিত থাকতে চাচ্ছেন?
আগের প্রজন্মের নারীদের ক্ষেত্রে, বিয়ে করা ছিল একটি সাধারণ ব্যাপার। বিয়ের বয়স হলে তাই সংসারের স্বপ্ন দেখতেন তারা। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সংসার সামলাতেন। কিন্তু এখন বিষয়টি পুরো উল্টো হয়ে গিয়েছে। নিজেদের সমৃদ্ধির দিকেই এখন নারীদের মূল ফোকাস। তার কারণ একটাই, অবিবাহিত স্ট্যাটাসটি মেয়েদের জন্য এখন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। এর প্রবণতা এতটাই বাড়ছে যে অনেক নারীই বিবাহবিচ্ছেদের পর, পুনরায় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৩০-৪০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ডিভোর্স দেওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।
সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভাবছেন নারীরা
অতীতে, নারীরা ২০ বছরে পড়তে না পড়তেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন। বছর ঘুরতেই তাদের মধ্যে মা হওয়ার প্রবণতা দেখা যেত। কিন্তু এখন নারীরা সন্তান ধারণের বিষয়ে দু' বার ভাবছেন। আদৌ মা হতে চান কিনা, সে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছেন।
কেন এমনটা হচ্ছে?
নারীরা মূলত, মা হওয়ার আগে পরিবার সামলানোর চাপ, ক্যারিয়ারে আর সুযোগ আসবে কিনা এবং বাচ্চাদের লালন-পালন খরচ সামলাতে পারবেন কিনা—এসব চিন্তা করছেন। বর্তমানে এমন অসংখ্য পরিবার রয়েছে যেখানে মেয়েই পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আর্থিক দিকটা সামলানো তাদেরই দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আর্থিক স্বাধীনতার মধ্যে নারীরা নিজেদের সুখ খুঁজে পাচ্ছেন। তাই ক্যারিয়ারেই আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে চাইছেন।
নারীদের এই মনোভাব অর্থনীতি ও কর্মক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলবে?
অবিবাহিত, নিঃসন্তান নারীদের সংখ্যা যত বাড়বে, তা অর্থনীতিতে আরও বড় প্রভাব ফেলবে। এমনটাই আশা করা হচ্ছে। যেসব নারী বিয়ে ও সন্তান ধারণ করতে দেরি করবেন বা এড়িয়ে যাবেন, তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বেশি থাকবে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে, বিয়ে এবং সন্তান ধারণ করার বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে।
সন্তানের যত্নের ক্ষেত্রে, কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া এবং নারী ও পুরুষের বেতন সমানে সমানে নিয়ে আসা, এই বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব পেতে পারে। এসব পরিবর্তন লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করতে পারে, মত বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
- নারী বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা বাংলাদেশের
- ঠাকুরগাঁওয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারাম উৎসব উদযাপন
- বিশ্বে প্রতি ৫ মিনিটে সাপের কামড়ে মরছে ১ জন: হু
- হারিয়ে যাচ্ছে কদম ফুল
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
- কুমিল্লায় বন্যায় স্বাস্থ্য খাতে ক্ষতি ২৫ কোটি
- অফিসে ‘গোপন কক্ষ’ নিয়ে মুখ খুললেন মালা খান
- হঠাৎ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ
- লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে ১ কন্যাশিশুসহ নিহত ৯
- ফের অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদ গুঞ্জন
- অতিশী মারলেন হচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
- বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি
- সহজে তালের বড়া তৈরির রেসিপি
- ইরানে বাড়ছে চিকিৎসকদের আত্মহত্যা, কিন্তু কেন?
- বর্ষার রাণী কেয়া ফুল: কত যে বাহার
- কোটা আন্দোলন:পরিবহন খাতে ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা!
- এই কাজ আমার জন্য চ্যালেঞ্জ নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা
- সিরাজগঞ্জে এমপির বাসায় আগুন, দুই মরদেহ উদ্ধার
- মাদার তেরেসার ১১৪তম জন্মদিন আজ
- অভিনয়শিল্পী-নির্মাতাদের সংহতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে
- আজ বাইশে শ্রাবণ, রবী কবির প্রয়াণ দিবস
- পর্যটক না আসায় হতাশ টাঙ্গুয়ার হাওরের শ্রমিকরা
- ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের দুই শিল্পীকে শোকজ
- নতুন মুখ নিয়ে দল গোছান, আওয়ামী লীগকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শখের বশে সফল উদ্যোক্তা সুমনা
- রাজধানীসহ সারা দেশে দেড় হাজার ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভাঙচুর
- আইভিএফ পদ্ধতি কী ও কেন জেনে নিন
- শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা ডিবিতে
- আদালত প্রাঙ্গণে ফারজানা রূপাকে থাপ্পড়
- বন্যায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, সড়কে-গাছতলায় চলছে চিকিৎসা