ঢাকা, শুক্রবার ৩১, জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫১:৩৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সবজিতে স্বস্তি, তেল-চালের বাজার চড়া টিকটক করায় মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা শীতে কাঁপছে দিনাজপুর, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে ওয়াশিংটনে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে কেউ বেঁচে নেই বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু, মুসল্লিদের ঢল শীতে কাঁপছে দিনাজপুর, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ বন্ধ হচ্ছে ৯ মাসের জন্য

২৭ বছর আগে নিখোঁজ স্বামীকে খুঁজে পেলেন স্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার

গঙ্গাসাগর ওরফে ‘বাবা রাজকুমার’।  ছবি: সংগৃহীত।

গঙ্গাসাগর ওরফে ‘বাবা রাজকুমার’। ছবি: সংগৃহীত।

২৭ বছর আগে আচমকাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিল প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা। অপেক্ষায় থাকা স্ত্রী খুঁজে পেলেন তার স্বামীকে। মেলা হয়ে উঠল পরিবারের মিলনস্থল। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া পরিবারের অভিভাবককে কাছে পেয়ে খুশির বাঁধ ভাঙল পরিবারের। বাবাকে কাছে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তার সন্তানেরাও। ঘটনাটি ভারতের।

গঙ্গাসাগর যাদব। ভারতের ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বর্তমানে তার বয়স ৬৫। তিনি ‘অঘোরি’। নতুন নামকরণ হয়েছে ‘বাবা রাজকুমার’। তবে পরিবার তাকে চিনতে পারলেও গঙ্গাসাগর কিন্তু তার ফেলে আসা জীবন, সংসার সব কিছুই অস্বীকার করেছেন। উল্টে নিজেকে বারাণসীর বাসিন্দা বলেই দাবি করছেন। তবে পরিবারের দাবি, ‘বাবা রাজকুমার’ যতই নিজেকে গঙ্গাসাগর মানতে অস্বীকার করুক না কেন, তিনিই যে ঝাড়খণ্ডের গঙ্গাসাগর, সে বিষয়ে নিশ্চিত পরিবার।

গঙ্গাসাগরের স্ত্রী ধানোয়া দেবী। তার দুই পুত্র কমলেশ এবং বিমলেশ। যদি কুম্ভমেলায় গঙ্গাসাগরকে খুঁজে পাওয়া যায়, এই আশা নিয়েই প্রয়াগরাজে এসেছিলেন তারা। ধানোয়া দেবীর দাবি, তারা আশা করতে পারেননি যে, কুম্ভমেলাই হয়ে উঠবে তাদের পরিবারের মিলনস্থল। 

গঙ্গাসাগরের পুত্রেরা জানিয়েছেন, কুম্ভমেলার পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। গঙ্গাসাগরের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর আর্জিও জানিয়েছেন তারা। 

গঙ্গাসাগরের আত্মীয় মুরলী যাদব বলেন, মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব আমরা। যদি ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যায়, এই ব্যক্তি গঙ্গাসাগর নন, তা হলে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।’

ধানোয়া দেবী জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে পটনায় গিয়েছিলেন গঙ্গাসাগর। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। তার কথায়, আমার স্বামীর গবাদি পশুর ব্যবসা ছিল। একদিন সকালে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খুঁজে গত ২৬ বছর ধরে। মনে মনে বিশ্বাস করতাম, এই বুঝি ফিরে এল। তাই তার অপেক্ষায় থাকতাম। এক আত্মীয় কুম্ভমেলায় এসেছিলেন। তিনি এক ব্যক্তির ছবি তুলে পাঠান। সাধুর বেশে ওই ব্যক্তির শারীরিক গঠন, চোখ মুখের গড়ন দেখে নিশ্চিত হই, এই ব্যক্তিই আমার হারিয়ে যাওয়া স্বামী।

তার পরই দুই পুত্রকে নিয়ে প্রয়াগরাজে হাজির হয়েছেন ধানোয়া। মেলা ঘুরে তাকে খুঁজে বার করেছেন।

ধানোয়া বলেন, স্বামীকে এই বেশে দেখব ভাবিনি। আমাদের না চেনার ভান করছেন। শুধু শিবমন্ত্র জপে যাচ্ছেন।

গঙ্গাসাগরের মা বলেন, ছেলে বাড়ি ফিরে আসুক। এটাই চাই।

এই ব্যক্তিই যে গঙ্গাসাগর তা কী ভাবে চিনলেন? ধানোয়া দেবী বলেন, স্বামীর দাঁত, কপালে কাটা চিহ্ন, হাঁটুর একটি দাগ দেখেই ওকে চিনতে পেরেছি।

তবে ধানোয়া দেবীরা গঙ্গাসাগর বলে যাকে দাবি করছেন, সেই ব্যক্তি আদৌ ঝাড়খণ্ডের গঙ্গাসাগর কি না, তা ডিএনএ পরীক্ষার পরই স্পষ্ট হবে। এখন মেলা শেষের অপেক্ষায় ধানোয়া দেবীরা।