ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১, নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৭:৪৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাজধানীতে আজও অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

‘৭ মার্চের ভাষণ: ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত’

আয়শা খানম | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০০ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার

আয়শা খানম : বিশিষ্ট নারীনেত্রী, সভাপতি-বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

আয়শা খানম : বিশিষ্ট নারীনেত্রী, সভাপতি-বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট নারীনেত্রী আয়শা খানম আজ শনিবার সকালে মারা গেছেন। ২০১৯ সালের ৭ মার্চ ‘৭ মার্চের ভাষণ: ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত’ শিরোনামে উইমেননিউজ২৪.কম-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শোনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছিলেন। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছিলেন বনশ্রী ডলি। উইমেননিউজ২৪.কম-এর পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি আবারও তুলে ধরা হলো।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে এখন কেবল ঐতিহাসিক ভাষণ বলা যায় না। এটা এখন সারা পৃথিবীর ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সম্পদ। সেদিনের প্রেক্ষাপট নিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ তার কবিতার ভাষায় বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি ও ভাষণটিকে রাজনৈতিক কবিতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

১৯৭১ এর ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ভাষণ শোনার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। প্রতিবছরই মুক্তিযুদ্ধ দিনের কথা বলতে গিয়ে সেদিনের স্মৃতিচারণ করি, আরো অনেকবার বলা হলেও এসব স্মৃতিকথা বলে যেতে হবে বার বার।

এদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ এমন একটি ভাষণ দিয়েছেন। বিশেষ প্রেক্ষিতটা হলো, ১৯৪৭-এর পর এ অঞ্চলে ২৫ বছরের শাসন ও শোষণই কেবল নয়, যে লক্ষ্যে এই উপমহাদেশে উপনিবেশবিরোধী সংগ্রাম-আন্দোলন হয়েছে তাতে  লক্ষ্য করলে দেখা যায় ক্ষুদিরামের ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি...’ এই গানগুলো শুনে শুনে স্কুল জীবন থেকে শুধু নেতাজী সুবাস বোসই স্বদেশী আন্দোলন কর্মী তৈরি হচ্ছিলেন তা তো নয়। আরো অনেকে নিজেদের  তৈরি করছিলেন।

এই বঙ্গে বা তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম নিয়ে যে বঙ্গভূমি, পলিবিধৌত বাঙলার ভৌগলিক, নৃতাত্ত্বিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ভাষা, সংস্কৃতি, জীবন সাধনা, হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। এ অঞ্চলের রাধারমন দত্ত, লালন ফকির, হাসন রাজা, মুকুন্দ দাস,  রবীন্দ্র ও নজরুলসহ আরো অনেকের সংগীতে সমৃদ্ধ এই মাটিতে রয়েছে অনেক আবেগ আর দেশপ্রেম। তাই বঙ্গীয় এ অঞ্চলের মানুষ আবেগপ্রবণ। এই আবেগ ধারণ করে নিজস্বতা রক্ষার স্পৃহা দেখা গেছে অনেক আগে থেকে। কিন্তু  সেই সাথে নিজস্বতা রক্ষার সংকল্প ছিল সবসময়। কেবল সামান্য ভাত খেয়ে আর কাপড় পরে সন্তুষ্ট নয়।

বাঙালির এই যে মহত্তম উদ্দেশ্যে জীবন সাধনা, অন্বেষা, চর্চা ও যন্ত্রণা এর বহিপ্রকাশ ঘটে যখন দেখা যায় বাঁশের লাঠি দিয়ে বিদ্রোহ করে বাঙালি। নিজস্ব স্বত্ত্বা রক্ষার স্পৃহা ও আবেগ দিয়ে জাতির মনন এবং চিন্তা চেতনা আর সংগ্রামী স্পৃহার পরিচয় মেলে বাঙালির। এর পুরো ধারার একটা মহত্তম ও শ্রেষ্ট প্রতিনিধি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। এই জাতির বহু বছরের সাংস্কৃতিকে ধারণ করেছেন তিনি। সেজন্যই একটা পুরো জাতির একটা ভাষা, কৃত্রিম রাষ্ট্রের কথা বলি, যে জন্য উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেছি। উপনিবেশবিরোধীা আন্দোলন জাতিগোষ্ঠী করে।  কিন্তু  যখন দেখা যায় যে আকাঙ্খায় কোন জাতি বাঁশের লাঠি নিয়ে বিদ্রোহ করে, যে আকাঙ্খায় হাসতে হাসতে ফাঁসিতে জীবন দেয়,  যে আশায় সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম, মাস্টারদা সূর্যসেনদের লড়াই।

এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে আজ অনেক সংগ্রামীর নামই আসে। একটা ভাষণ আবেগ দিয়ে কীভাবে তৈরি হলো বঙ্গবন্ধুর ভেতরে, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যা বলেছেন এর পেছনে যদি পঞ্চাশ বা শত বছরের ইতিহাসের মূল ধারাকে না টানি তাহলে বোঝা যাবে না। কীভাবে তিনি সেদিন মঞ্চে উঠলেন। আমার সোনার বাংলা/আমি তোমায় ভালোবাসি, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে... এই যে পাঁজর ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার কথাটা সৃষ্টি হলো বঙ্গবন্ধুর ভেতরে, এই মনোভাব কিভঅবে হলো! জাতির মধ্যে সেসময় একটা আবহ ছিল;  সেই আবহের স্ফুরণ সেদিন  ওই ঐতিহাসিক ভাষণে ধারণ করছেন বঙ্গবন্ধু। তাছাড়া তার নিজের জীবনের সংগ্রাম, কিশোর বয়স থেকে যুবক ও পরিণত বয়সে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা এবং পুরো জাতির দীর্ঘদিনের আকাঙ্খার কথাগুলো তিনি সেদিন বললেন। এ বঙ্গের হাজার বছরের বহুমুখী ধারার মত ও আদর্শ, দেশপ্রেম আর বঞ্চনার ইতিহাস গ্রোথিত ছিল তার হৃদয়ে।  

দেশে বা বিদেশে অনেক বাংলাভাষী হয়তো ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন করতে চান। অন্যভাবে ভাবতে পারেন কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে যখন ইতিহাসকে দেখি এবং ৭ মার্চের ভাষণকে ব্যাখ্যা করতে চাই তখন সেসব ইতিহাস টেনে আনি। বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ভাষণকে বিচ্ছিন্ন কোন ছেঁড়া ঘটনা মনে করি না।
 
এই পলিশ্রোতের ধারায় যেমন এই মাটিতে এখন হাজার ফসল ফলে, সুজলা সুফলা স্বয়ং সম্পূর্ণ বাংলাদেশ। কিন্তু এমনটা তো ছিল না। এ অঞ্চলে আর্থিক কষ্ট ছিল, মন্দা, দুর্ভিক্ষ ও দুশাসন ছিল। এই অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে ছয় দফা দাবি আসলো। তার আগে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষার দাবি, বহুমুখী সংগ্রাম হলো। সেসময়ের  রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মানস সত্ত্বাকে ধারণ করে তিনি দূরগামী দৃষ্টি নিয়ে ভাষণটি দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি বলছেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম. এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’।

আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজয় হয়েছে, মুক্তির সংগ্রাম এখনো চলছে। অর্থনৈতিক ও সামজিক মুক্তি, পরাধীনতা ও মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্তি। কুসংস্কার মুক্ত হওয়া, যুক্তবাদী ও মানবিক সমাজ গঠন করা। চিন্তা চেতনা ও মননে, জীবন চর্চা থেকে সাম্প্রদায়িকতা দূর করা।

মুক্তি শব্দটির অর্থ ব্যাপক, এই যে আধুনিক ও বিশ্ব মানব হয়ে ওঠার আহবান, এত সুন্দর ছোট সময়ে অল্প কথার বক্তব্যে আবেগ আছে, এতে আছে বঙ্গবন্ধুর সহজাত বলিষ্ঠতা, শর্তহীন আত্মত্যাগের মানোভাব। ‘রক্ত যদি দিতে হয় আরো দিব, এই বাংলার মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ’ এটাই এই ভাষণের ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিক।  ইতিহাসের শ্রোতধারাকে ধারণ করে তিনি এই ভাষণে বাঙাালির চাওয়া-পাওয়াকে প্রকাশ করেছেন।

সেদিনের নাতিদীর্ঘ এই ভাষণে এমন কিছু বিষয় ছিল যার রাসায়নিক বিক্রিয়ায় আমাদের চেতনায় উদ্দীপনা সাহস আর শপথ নেয়ার কাজটি ভেতরে ভেতরে হয়ে যায়। কেবল আমি নই সব বাঙালির, কিছু মানুষ ছাড়া। যার জন্য স্বাধীনতার জন্য দেশের জন্য যেকোনো ঝুঁকি নিতে মানসিক প্রস্তুতি হয়ে যায় সেদিন মাঠে বসেই।

৭ মার্চ  দিনটি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অনেক আবেগের ও স্মৃতিবহ। কারণ মঞ্চের খুব কাছে থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। সংগঠনগতভাবেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে মাঠে যাওযার সিদ্ধান্ত ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ভিপি হিসেবে সকাল থেকেই হলে মেয়েদের একসঙ্গে জড়ো করার দায়িত্ব ছিল আমার। ছাত্র ইউনিয়নের ৫০ ছাত্রী ও আওয়ামী লীগসহ অন্যদলের মিলে প্রায় হাজার ছাত্রী সেদিন ভাষণ শুনতে মাঠে ছিলেন। স্কুল কলেজের ছাত্রীও এসেছিল। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে ঠিক কয়টায় মাঠে পৌঁছেছি মনে নেই। সেদিন সোাহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে বিভিন্ন বয়সের নারীরা মঞ্চের সামনের দিকটায় বসেছেন।   

সোাহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেদিন তিল ধরার জায়গা ছিল না। স্লোগানমুখর সেদিনের ময়দান শুরু থেকেই নেতার অপেক্ষায় অস্থির ছিল। কখন আসবেন নেতা, কখন শোনাবেন তার ঐতিহাসিক বাণী- এই যে ছিলো সকলের মনের কথা। বঙ্গবন্ধু সেদিন কোন কাগজ না দেখেই আবেগময় এবং দৃঢ় যে বক্তব্য রাখলেন তার বজ্রকণ্ঠে এখন তা ঐতিহাসিক ভাষণ। সেদিন সোাহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে খুব কাছে থেকে মনোমুগ্ধের মত শুনেছিলাম সে ভাষণ। আজও কানে বাজে সে কণ্ঠস্বর।

১৯৭১ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ৭ মার্চের বেশ আগে থেকেই নিয়মিত সভা সমাবেশে যোগ দিয়েছি। সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত হওয়ার পর কমিটির সিদ্ধান্তে প্রতিদিনই কোনো না কোনো জায়গায় বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও পাড়ায় জনমত গঠনের কাজ করতে হয়েছে।

আমি নেত্রকোণার মেয়ে। স্কুল কলেজে বিতর্ক অনুষ্ঠান করার অভিজ্ঞতা থাকলেও ঢাকার রাস্তায় রিকশায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়ার প্রেক্ষাপট একেবারেই অন্যরকম। সময়টাই এমন ছিল যে পরিস্থিতি আমাকে টেনে এনেছে। অনেক  সৌভাগ্য যে ছাত্রজীবনেই সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্তদের মতো দেশপ্রেমিক ও রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তাদের আদর্শ ও শিক্ষায় আমার মানস গঠন হয়েছে। সেজন্য দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই ভাবনায় এসেছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা অসুবিধার ভাবনা তখন একেবারেই কাজ করেনি। এমন সাহস দেখানোর মানসিকতা তৈরি হয়েছে সেসময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠার কারণেই।

১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই পাক-ভারত যুদ্ধের প্রভাব টের পেলাম। আমার অবস্থাটা এমন যে ‘জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি’। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হঠাৎ ঢাকায় ব্লাক আউট হয়ে যায়। যার সাথে ‘৭১-এর ২৫ মার্চের কালো রাতের কথা মনে আসে।

এর আগে থেকেই বঙ্গভঙ্গে পূর্ব বাংলার বাঙালির সুখে থাকার মোহভঙ্গ, ’৫২  ভাষা আন্দোলন, ‘৫৪ ’৬২র আন্দোলন ও ৬৬তে ছয় দফা, ‘৬৯ এর আন্দোলন।  ১১ দফা আদায়ের আন্দোলন এদশের রাজনৈতিক প্রেক্ষপট তৈরি করেছে। ৭০ এর নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর করতে তালবাহানা, ক্রমেই বাঙালিকে স্বাধীন হওয়ার জন্য চূড়ান্ত সংগ্রামের দিকে নিয়ে যায়। একদিকে পাকিস্তান সরকারের শেখ মুজির রহমানের সাথে আলোচনার নামে সময় নষ্ট করা অন্যদিকে বাঙালিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র টের পেতে দেরি হয়নি। তাই ভেতরে বাইরে শুরু হয় বিদ্রোহ, মিছিল, প্রতিবাদে মুখর হয় ঢাকার রাজপথ।

‘৭১ এর পহেলা মার্চ থেকে ৬ মার্চ উত্তাল ছিল ঢাকা। আলোচনা ব্যর্থ হওযার পরে খুব দ্রুত বদলে যায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর ছড়িয়ে পড়ে চূড়ান্ত বিদ্রোহের দাবানল।  তাই ৭ মার্চে লাখ লাখ মানুষ সেদিন সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জমা হয়েছিল। অনিবার্যভাবেই বঙ্গবন্ধু এমন একটি সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। এই অঞ্চলের বাঙালি জাতির আশা আকাঙ্খাকে ধারণ করে স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের প্রতিজ্ঞাই উচ্চারণ করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালির জন্য স্বাধীন ও স্বাবলম্বী দেশের স্বপ্ন দেখেছেন ও দেখিয়েছেন। এরই প্রতিফলন ছিল সেদিনের ভাষণে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের ও ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত।
 
আয়শা খানম: বিশিষ্ট নারীনেত্রী, সভাপতি-বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ